×

পুরনো খবর

জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে মুখোমুখি আওয়ামীপন্থী নীলদল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের দুইটি অংশ এবারও আলাদা দুইটি প্যানেলে নির্বাচন করছে। গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদল অংশ না নেওয়ায় মুখোমুখি নির্বাচন করছেন আওয়ামী শিক্ষকরা।

আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা শিক্ষকদের কাছে নিজেদের ইশতেহার তুলে ধরছেন। দিচ্ছেন নানা রকম আশা প্রত্যাশা। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) নীলদলের দুই পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হওয়া নীল দলের ড. আবুল হোসেন গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে সবেতনে পিএইচডি শিক্ষা ছুটি ৫ বছর করণ, ইনক্রিমেন্ট সুবিধা নিশ্চিতকরণ, চাকুরীতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলকরণ, শিক্ষকদের জন্য ইউজিসি থেকে নতুন পদ সৃষ্টি করা, একাডেমিক কাউন্সিলে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক স্তরে প্রতিনিধি নিশ্চিতকরণসহ নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। এ গ্রুপে সভাপতি পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম ও মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন।

অন্যদিকে দুপুর দেড় টার দিকে শুরু হওয়া নীলদলের ড. জাকারিয়া মিয়া গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা নির্বাচিত হলে শিক্ষক নিয়োগ পদোন্নতিতে মানসম্মত বিধি প্রণয়ন করা, সান্ধ্যকালীন কোর্স পুনরায় চালু করা, গবেষণা স্বীকৃতি স্বরুপ এওয়ার্ড চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করা, শিক্ষকদের জন্য উন্নত ক্যাফেটেরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নসহ শিক্ষক সমিতি থেকে চলমান কাজকে অব্যাহত রাখা হবে। এ গ্রুপ থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ-উল-আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন। প্যানেলটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রার্থীসহ একজন নারী প্রভাষক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। বিগত কয়েকবছর ধরে সংখ্যাগরিষ্টভাবে নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে দেখা গেছে।

এদিকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা না করলেও বিএনপি ও জামাত পন্থী শিক্ষকরা নীল দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। প্রায় শতাধিক বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ভোট নির্বাচনে প্লাস পয়েন্ট বলে নিজেদের দিকে টানছেন আওয়ামীপন্থী দুই প্যানেল। এছাড়া গতবছর নির্বাচনে অংশ নেয়া আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন 'জয় বাংলা শিক্ষক সমাজ' এর আহবায়ক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস ভোরের কাগজকে বলেন, আমি শিক্ষাছুটিতে। আমরা নির্বাচনের জন্য দল গোছাতে পারিনি। তাই এবার আমাদের নির্বাচন করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুরঞ্জন কুমার দাস বলেন, আগামী ৮ তারিখ শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দুই পক্ষই প্রচারণায় ব্যস্ত। এখন পর্যন্ত কারও কোনো অভিযোগ নেই। ভোটার তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুযায়ী যে সকল শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তারাই ভোট দিতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App