×

রাজধানী

লাইসেন্স প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা হবেনা: ডিএমপি কমিশনার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২১, ০৬:২৮ পিএম

সিনিয়র সচিবের বিআরটিএ কার্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন, হাতেনাতে ১ আনসার সদস্য ধরা

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে রাস্তায় গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে সার্জেন্ট মামলা দিতে পারবে না। এই বিষয়ে ডিএমপির নির্দেশনাও রয়েছে। এরপরেও যদি পুলিশ মামলা করে তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে তিনি মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে নিজের লাইসেন্সের বায়োমেট্রিক দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এদিকে আজ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম বিআরটিএ কার্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন করেছে। এসময় সচিব দালালিকালে এক আনসার সদস্যকে হাতেনাতে ধরেছেন। বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত দালালদের তৎপরতা প্রতিরোধে অভিযানও চালিয়েছে। এসময় এক জনকে জেল ও দুইজনকে জরিমানা করেছে।

জানা গেছে, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সোমবার দুপুরের দিকে তার নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বায়োমেট্রিক দিতে মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে যান। বায়োমেট্রিক দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকরা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের মামলা ও হয়রানীর বিষয়ে অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। এ সময় তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চলানো যাবে না। সেক্ষেত্রে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তবে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে চালকদের কাছে থাকলে সার্জেন্ট মামলা দিতে পারবে না। ডিএমপির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। তারপরেও কোনো ট্রাফিক সার্জেন্ট কাউকে জরিমানা কিংবা মামলা করলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, লাইসেন্স না থাকার যে জটিলতা রয়েছে তা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের। এটার দায় চালকদের না। চালকদের এই বিষয়ে ছাড় দেয়া হচ্ছে। আর এই সুযোগে কেউ যদি তাকে জরিমানা করে থাকে সেটা অন্যায়, আমরা সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো। বিআরটিএ-তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য দালালির সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে ‘বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

অপরদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম বিআরটিএ কার্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন করেছে। এ সময় দালালির সঙ্গে জড়িত থাকায় সচিব এক আনসার সদস্যকে হাতেনাতে ধরেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আনসার কমান্ডারকে নির্দেশ দেন। বিআরটিএ এর ভ্রাম্যমাণ আদালতও দালালদের তৎপরতা প্রতিরোধে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় এক জনকে জেল ও দুইজনকে জরিমানা করেছে।

এ সময় তিনি বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি বিআরটিএ’র রেকর্ড রুমে গেলে মাজেদ নামে এক আনসার সদস্যকে সেখানে দেখতে পান। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় সিনিয়র সচিব মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মাজেদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় দালালির বিষয়টি ধরা পড়ে। সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে আনসার সদস্য মাজেদকে ক্লোজ করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিআরটিএ’র আনসার কমান্ডার নূর মোহাম্মদকে নির্দেশনা দেন।

একইসঙ্গে বিআরটিএ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফখরুল ইসলাম বলেন, অভিযানকালে বিআরটিএ কার্যালয় থেকে দালালিকালে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজু ও সোহরাব হোসেন নামে দু’জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপর একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিআরটিএ- কে দালালমুক্ত করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে।

নির্বাহী মেজিস্ট্রেট দালালদের সহায়তা ছাড়া সেবা গ্রহীতাদের স্বশরীরে বিআরটিএ কার্যালয়ে এসে নিজেদের কাজ করার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App