×

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তার ঘাটতি আছে: তথ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২১, ০৮:৫১ পিএম

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তার ঘাটতি আছে: তথ্যমন্ত্রী

‘গ্লাসগো কপ ২৬ সম্মেলন’ বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন এবিষয়ে বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তার ঘাটতি লক্ষণীয়।

সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে কাকরাইলের তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিসিজেএফ) আয়োজিত ‘গ্লাসগো কপ ২৬ সম্মেলন’ বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিসিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

ড. হাছান বলেন, ২০০৯ সালে বিশ্বের দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হতে পারলেও বিভিন্ন দেশ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়ছে। ইতোমধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। অথচ চুক্তির লক্ষ্য ছিল প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ানোর মধ্যে উষ্ণতা রাখা।

ড. হাছান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোসহ বাংলাদেশের ওপর এর সরাসরি প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, মরুময়তা ও লবণাক্ততা বাড়ানোর সঙ্গে ঋতুবৈচিত্র্যে অসামঞ্জস্যসহ নানা পরিবর্তন সুস্পষ্ট। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ দেশগুলোর চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উষ্ণায়নের জন্য দায়ী দেশগুলো যাতে তাদের প্রশ্রিুতি বাস্তবায়ন করে, সেজন্য নানা আন্তর্জাতিক কর্মসূচি নিয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি শুধু সরকারের সমালোচনা আর নির্বাচন বর্জনের অপরাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ।

বিসিটিআইয়ের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : অপর একটি অনুষ্ঠানে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষিতদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান আনন্দের পাশাপাশি সমাজের জন্য বার্তা দেবে, সমাজকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অনুষ্ঠান সমাজে খ্যাতি ও অর্থের পেছনে মানুষের নিরন্তর ছুটে চলা থেকে নতুন প্রজন্মকে বেরিয়ে আসতে পথ দেখাতে পারে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় নবতরঙ্গ শ্লোগানে বিকেলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে এর আলোচনার আয়োজন করে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিসিটিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিসিটিআই এর প্রধান নির্বাহী আবুল কালাম আজাদ, একাডেমিক কাউন্সিল সভাপতি অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া, কোর্স পরিচালক ম. হামিদ এবং বিসিটিআই প্রাক্তনী সংসদ সভাপতি মাহবুব হোসেন সভায় বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই তার হাতে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন ৪৫ টি বেসরকারি টিভি, সেখানে ব্যপক কর্মসংস্থান হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পেও নতুন জীবনদানের কাজ চলছে। আর এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিসিটিআই প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App