জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দানকারী প্রতারক আব্দুল কাদেরকে পৃথক দুই মামলায় এবার সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) এক মামলায় তিনদিন এবং আরেক মামলায় চারদিনসহ মোট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার আসামি কাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে জলসিঁড়ি প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মনির হোসেন নামের এক ঠিকাদারের করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জয়নাল আবেদীন বাবুর করা আরেক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষও রিমান্ডের জোর দাবি জানান। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক প্রথম মামলায় তিনদিন ও দ্বিতীয় মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ সাত দিনের রিমান্ড বাদেও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার প্রতারণার মামলায় কাদেরকে প্রথমে চারদিন এবং পরে ১৩ অক্টোবর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৭ অক্টোবর শেখ আলী আকবর তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন তিনি। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সততা প্রপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছোঁয়া এবং ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম। এ মামলার অভিযোগে পরদিন আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।