×

জাতীয়

বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মী পাবেন সাড়ে ১৩ হাজার টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০২ পিএম

বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মী পাবেন সাড়ে ১৩ হাজার টাকা

বিদেশফেরত কর্মী / প্রতীকি ছবি

দেশের ৩০ জেলায় প্রবাসীদের জন্য ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপনের কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। এসব ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া দুই লাখ কর্মীর প্রত্যেকে প্রণোদনা হিসেবে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোভিড ফেরত (কোভিডের কারণে বিদেশ ফেরত) কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্টের সাবসিডি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোভিড ফেরত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট থেকে এসব ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। ৪২৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প থেকে স্থাপন করা ওয়েলফেয়ার সেন্টারে কোভিড ফেরত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে যাচাই-বাছাই করে দুই লাখ কর্মীকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বয়স্ক, নারী ও খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন যাদের, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া এই প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার ৫০০ বিদেশ ফেরত কর্মীকে দেওয়া হবে রিকগনেশন অব প্রাইম লার্নিং সার্টিফিকেট।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, আমরা রিইন্টিগ্রেশনের বড় একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইআরডির ৪২৭ কোটি টাকার একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির একটা সাবডিটি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সই করে পাঠিয়ে দেবেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩০টি জেলায় ৩০টি ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এগুলো করবে। প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য এটি করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন করবো। তারা যেন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা পান সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কোভিডের কারণে যেসব প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন, তারা এ প্রকল্প থেকে সহযোগিতা পাবেন। এ প্রকল্প থেকে বিদেশ ফেরত দুই লাখ কর্মীকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করো প্রণোদনা দেওয়া হবে। এটি দেওয়ার আগে কর্মীদের সার্ভিস দেওয়া হবে- তিনি কীভাবে প্রশিক্ষণ নেবেন, কীভাবে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হবেন, কীভাবে ব্যাংক ঋণ পাবেন, কীভাবে কোন ধরনের ইনিশিয়েটিভ পাওয়ার জন্য ট্রেনিং নিতে হবে, এসব কাজ সম্পাদনের পর তাদের যাচাই-বাছাই করে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে। গাইডলাইন অনুযায়ী, যাদের বেশি প্রয়োজন তাদের দেওয়া হবে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ লোককে আরপিএম বা রিকগনেশন অব প্রাইম লার্নিং সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এর যাবতীয় খরচ এই প্রকল্প থেকে ব্যবহার করা হবে।

৪২৭ কোটি টাকার এই প্রকল্প তিন বছরের জন্য জানিয়ে সচিব বলেন, আশা করছি আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ অথবা আগামী বছরের শুরুতেই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবো।

এ প্রকল্পের উপকারিতা প্রসঙ্গে সচিব জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসীদের একটা ডাটাবেজ তৈরি হবে। এতে জানা যাবে কারা দেশে ফিরেছেন, কোথা থেকে ফিরেছেন। এ ছাড়া এই ডাটাবেজ থাকলে ভবিষ্যতে তাদের সহযোগিতা করতে সুবিধা হবে।

অনুষ্ঠানে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App