×

জাতীয়

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০১ এএম

** কারখানাগুলোর ফটকে টানানো হচ্ছে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ** ** গত বছরের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি অর্ডার আসছে ** ** ক্রয়মূল্য বড় চ্যালেঞ্জ **

রাজধানীর মালিবাগে একটি পোশাক কারখানার ফটকে সাঁটানো একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এতে বলা হয়েছে, ১০০ জন অপারেটর ও ২০০ জন হেলপার (শিক্ষানবিশ শ্রমিক) নিয়োগ দেওয়া হবে। গত দুই বছরে এমন বিজ্ঞপ্তি দেয়নি কারখানাটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার কর্মকর্তারা জানান, প্রচুর অর্ডার আসছে। দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই মালিক জরুরি ভিত্তিতে নতুন কর্মী নিতে বলেছেন। সে কারণেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। ঢাকার উত্তরাতে সাগর গার্মেন্টসেও বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে নতুন কর্মী নিয়োগের। এ গার্মেন্টসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের তুলনায় অনেক বেশি অর্ডার আসছে। এজন্য নতুন করে আরো দুই লাইন বাড়ানো হচ্ছে। আর তাই নতুন কর্মীরও প্রয়োজন হচ্ছে।

শুধু ঢাকার কারখানা নয়, রাজধানী ও আশপাশের জেলা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোর ফটকে টানানো হচ্ছে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। প্রচুর যে অর্ডার আসছে তার সত্যতাও মিলছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য মতে। সংগঠনটি বলছে, আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য মহামারি পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ বেশি অর্ডার এসেছে, যা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার চেয়েও বেশি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারে সেনা শাসনের কারণে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। তার আগেই চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করে আসছে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা। তবে ক্রয়াদেশ বাড়লেও সে অনুপাতে ক্রয়মূল্য পাচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এলক্ষ্যে বর্তমান বিজিএমইএ কমিটি কাজ করছে বলে জানান তারা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশে এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ক্রয়াদেশ বাড়ছে। তবে পোশাকের ক্রয়মূল্য বাড়ছে না। এটা আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, আমাদের পার্শবর্তী দেশগুলোর তুলায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু আমরা প্রায় বেশির ভাগ তুলাই আমদানি করি। ফলে সুতার দাম বাড়তি। কন্টেইনারেও আমাদের বাড়তি মূল্য দিতে হচ্ছে। ক্রয়মূল্য না বাড়লে লোকসান দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব না। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পে কারখানা ও শ্রমিকের সংখ্যার সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিইডি) ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে রপ্তানিমুখী ৩ হাজার ৩৮৪ পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন ২৬ লাখ ৬৬ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ১১ লাখ ১৩ হাজার পুরুষ ও ১৫ লাখ ৫৩ হাজার নারী। ডেনিম এক্সপার্ট ও বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আসলে বিজিএমইএ-বিকেএমইএর সদস্যের বাইরেও এক হাজারের মতো কারখানা আছে, যেগুলোতেও ভালো মানের পোশাক তৈরি হয়; কাজও করেন অনেক শ্রমিক। সব মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা যোগ করলে ৪ মিলিয়ন বা ৪০ লাখের মতো হবে।

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার প্রভাব কাটিয়ে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি ক্রয়াদেশ পাচ্ছি। আগে যেমন ১০ টাকা ক্ষতি হতো, এখন সেখানে দুই টাকা ক্ষতি হবে। কিন্তু ক্রয়াদেশ বাড়লেও সেই অনুপাতে ক্রয়মূল্য বাড়েনি। আমাদের এখনো লস দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্রয়মূল্য বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রতিনিধিদল বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাদের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আশা করছি, আগামীতে আমরা ভালো ক্রয়মূল্য পাব। আমাদের আর ভর্তুকী দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হবে না।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, বিপুলসংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তাই সেসব দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য করোনার আগের মতো ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তাছাড়া মিয়ানমারে সেনাশাসনের কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তর হয়েছে। বড় দিনকে কেন্দ্র করেও প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। তার আগেই চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করেছেন ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান পোশাক চাহিদা পূরণে পোশাক শিল্পে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর্মীর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, সংখ্যায় যা প্রায় ৩ লাখ হতে পারে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত কার্যাদেশ পূরণে গার্মেন্টস শিল্পে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন, তবে আমাদের দেশে দক্ষ ও অদক্ষ পোশাক শ্রমিক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাব রয়েছে। সরকার দক্ষতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করলে তা পোশাক শিল্পে আরো কর্মসংস্থান তৈরির সহায়ক হবে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যে সফল টিকাদানের পর অধিকাংশ বিপণি কেন্দ্র খুলেছে এবং মানুষের হাতে পোশাকের পেছনে ব্যয় করার মতো অর্থও আছে।

পোশাক খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি স্নোটেক্স গ্রুপ। তারা বছরে ২৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। তাদের স্নোটেক্স আউটারওয়্যার ও স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যারে ৬ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগ পেয়েছে। আরো ১ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় আমাদের ক্রয়াদেশ বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ। সক্ষমতা আরো বেশি হলে ক্রয়াদেশ আরো বেশি নেয়া যেত। চট্টগ্রামের ‘ডেনিম এক্সপার্ট’ ক্রয়াদেশ বাড়ায় গত তিন-চার মাসে ৩৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। আরো সাড়ে তিনশ শ্রমিক নেবে তারা। ডেনিম এক্সপার্টের এমডি মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ক্রয়াদেশ দিতে আগ্রহী ক্রেতাদের ফোন প্রতিদিনই পাচ্ছি। ক্রয়াদেশের এমন চাপ গত পাঁচ বছরে পাইনি। তবে বর্তমানে বড় সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের সংকট। চাহিদা অনুযায়ী লোক পাচ্ছি না। সে কারণে উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ানো যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বাংলাদেশে এখন বিপুল অর্ডার আসছে, তাই আমাদের ক্রেতা বাছাইয়ে মনোযোগী হয়ে সস্তার চেয়ে তুলনামূলক দামি পণ্যের অর্ডার নিতে হবে। অধিক পরিমাণে উৎপাদনের চাইতে মূল্য বাড়িয়ে মুনাফা সীমা বাড়ানোর এটাই উপযুক্ত সময়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর তথ্যমতে, করোনা মহামারির মধ্যেই গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশের উদ্যোক্তারা মোট ৪১৭ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছেন। যার মধ্যে সাড়ে ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। অতীতে আর কোনো মাসেই এই পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়নি। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ৩৯১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছেই। গত ৫ অক্টোবর প্রকাশিত ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেলস (অটেক্সা) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪৩২ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি গত বছরের একই সময়ে আমদানি করে ৩৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পোশাক। এ হিসাবে আমদানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অধিকাংশই কটনভিত্তিক। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে মার্কিন বাজারে সবচেয়ে বেশি আমদানি হওয়া পণ্য হলো মেনস বা বয়েজ কটন ট্রাউজার। ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৯৮ কোটি ডলারের এ পণ্য আমদানি হয়েছে। এছাড়া উইমেন বা গার্লস কটন স্ল্যাকস, মেনস বা বয়েজ নিট শার্ট, ওইমেনস বা গার্লস নিট ব্লাউজে পোশাক পণ্যগুলোর আমদানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৮, ৭৪ ও ৫৯ শতাংশ।

ডিসেম্বরে বড় দিনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তাই ওই দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য করোনার আগের মতোই ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। কিছু ক্রয়াদেশ চীন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করেছেন আমেরিকার ক্রেতারা। ভিয়েতনামে লম্বা সময় লকডাউন থাকার কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ এসেছে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশের বেশি ক্রয়াদেশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তার সুফল আগামী দিনগুলোতে পাওয়া যাবে।’

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘মার্কিন ক্রেতাদের জন্য বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমেই আরো বাড়বে বলে আমরা মনে করি। আমাদের হিসাব বলছে, চলতি বছরে দেশটিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশেরও বেশি হবে।’ তিনি বলেন, ‘কারখানাগুলোতে প্রচুর ক্রয়াদেশ রয়েছে। সেজন্য আগের চেয়ে দামও কিছুটা বেশি নিতে পারছেন উদ্যোক্তারা। আশা করছি, আগামী মাসগুলোতে নিট পোশাক রপ্তানিতে ২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হবে।’ তবে সুতার দামের অস্থিরতার কারণে রপ্তানিকারকরা খুব একটা স্বস্তিতে নেই।

নতুন ১৭১ কারখানা চালু : মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে গত বছর একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় পোশাক রপ্তানির ব্যবসা বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়ে যায়। বছরের শেষ দিকে ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এ উত্থান-পতনের মধ্যেও অনেক বিনিয়োগকারী রপ্তানিমুখী পোশাকের ব্যবসায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন। তাতে করোনাকালে কমপক্ষে ১৭১টি নতুন পোশাক কারখানা উৎপাদনে এসেছে।

বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, গত বছরের জুন থেকে গত মাস পর্যন্ত ৯৬টি নতুন কারখানা তাদের সদস্যপদ নিয়েছে। বর্তমানে সব কটিই উৎপাদনে রয়েছে। অন্যদিকে নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ জানায়, গত বছর ৩৩টি কারখানা সদস্যপদ নিয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ১৯, নারায়ণগঞ্জে ১০ ও চট্টগ্রামের ৪টি কারখানা। আর চলতি বছর ৪২টি নতুন কারখানা সদস্যপদ নিয়েছে। তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ১৭টি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৩টি করে কারখানা রয়েছে।

জানা গেছে, করোনার মধ্যে পুরনো অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। আবার নতুন কারখানাও চালু হয়েছে। তবে এ কঠিন সময়ে নতুন বিনিয়োগ আসাটা ইতিবাচক। নতুন কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসাও সম্প্রসারণ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App