×

জাতীয়

মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই করে চক্রটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০৮:১০ পিএম

মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই করে চক্রটি

রবিবার ইজিবাইক চালক সাইফুল ইসলামকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব। ছবি: ভোরের কাগজ

চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক সাইফুল ইসলামকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আজিজুল ইসলাম (১৮), মো. ইমন খান (১৯), মেহেদী হাসান হৃদয় প্রকাশ মাসুম (১৮), বিজয় আহম্মেদ (১৯), আলাউদ্দিন (৩০) ও মো. আরজু মিয়া (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, ছিনতাইকৃত ইজিবাইক ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন পেশায় অটো রিক্সা চালক হলেও এর আড়ালে সংঘবদ্ধ অটোরিক্সা ছিনতাইকারী চক্রের হোতা সে। ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ ছিনতাই একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। তার চক্রের অধিকাংশ সদস্যই মাদকাসক্ত তরুণ। রাজধানীর উত্তরখান, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় অটোরিক্সা ছিনতাই করে আসছিল চক্রটি। ওই এলাকাগুলোতে এমন ১০টি চক্র সক্রিয় রয়েছে। অল্প টাকায় এ চক্রের সদস্যরা ছিনতাই কাজে ভাড়ায় অংশ নেয়। এই ঘটনার আগেও তারা ৪-৫ টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। চক্রের প্রত্যেক সদস্য মাদকসেবী। তারা মাদকের টাকা ও হাত খরচার টাকা জোগাতেই ভাড়ায় ছিনতাইয়ে অংশ নেয়।

চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক সাইফুল ইসলামকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচলের ২৬ নং সেক্টরের ২০২ নং সড়কের ৫৮ নং ব্রিজ এলাকায় সাইফুল ইসলাম খুন হন। পরে নিহতের বড় ভাই শাহ আলম (৩৪) বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিনবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর উত্তরখান ও গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে আজিজুল ইসলাম, ইমন ও পলাতক আসামী জুয়েল অটোরিক্সা চালকের হাত-পা বেঁধে ও মুখে কচটেপ লাগিয়ে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনানুযায়ী তার সহযোগী বিজয় ও হৃদয় প্রকাশ মাসুমকে ফোন করে উত্তরখান থানাধীন ময়নারটেক এলাকায় আসতে বলে। তারা একত্রিত হয়ে ময়নারটেক থেকে হরদি যাওয়ার জন্য সাইফুল ইসলামের ইজিবাইক ২০০ টাকায় ভাড়া করে।

ইজিবাইকটি ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র জুয়েল ছুরি দিয়ে ইজিবাইক চালক সাইফুল ইসলামের গলায় পোচ দেয়। ফলে সে নিচে পড়ে যায়। পরবর্তীতে আজিজুল তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে ও ইমন জুয়েলের ছুরি নিয়ে শরীরের আরও বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। জুয়েল ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় ও ইমন অটো রিক্সাটি চালিয়ে গাজীপুরের পুবাইল মিরের বাজারে দিকে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা কিভাবে বিক্রি করে সে সম্পর্কে লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, খুব অল্প দামে তারা কয়েক হাত বদলে ছিনতাই করা অটোরিক্সা বিক্রি করে দেয়। সর্বশেষ ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি তারা ৬০ হাজার টাকার চুক্তিতে ছিনতাই করেছিল। তবে বিক্রি করেছিল মাত্র ২০ হাজার টাকায়। এই চক্রটি আগে ছিনতাই করলেও খুন করেনি। তারা নির্জন স্থানে নিয়ে চালককে হাত-পা বেঁধে ফেলে অটোরিক্সা ছিনতাই করে পালাতো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App