×

সারাদেশ

দীর্ঘ ৫০ বছর পর কাপ্তাইয়ের নোয়াপাড়াবাসী পেলো বিশুদ্ধ পানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০৯ পিএম

দীর্ঘ ৫০ বছর পর কাপ্তাইয়ের নোয়াপাড়াবাসী পেলো বিশুদ্ধ পানি

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের নোয়াপাড়ায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপন করা হলো। ছবি: ভোরের কাগজ

দীর্ঘ ৫০ বছর পর কাপ্তাইয়ের নোয়াপাড়াবাসী পেলো বিশুদ্ধ পানি

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের নোয়াপাড়ার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হওয়ায় এ অঞ্চলের বাসিন্দারাও খুশি।

গত ২৫ মে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিশুদ্ধ পানি জুটেনি কাপ্তাই নোয়াপাড়া বাসির ভাগ্যে’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আসে। ৫ মাস পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন সংশ্লিষ্টরা। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিধি আনুসাই মারমা, উথোয়াই মারমা ও ক্রালাঅং মারমা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ তথা জেলা পরিষদ সদস্য দিপ্তীময় তালুকদারসহ স্হানীয় প্রশাসন ও দৈনিক ভোরের কাগজ এবং গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উপজেলার ৫ নম্বর ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডসহ নোয়াপাড়া মারমা অধ্যুষিত গ্রামবাসির ভাগ্যে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জুটেনি একটি ডিপটিউবওয়েল। ফলে এ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার পড়েছে। খাবার পানি, ধোয়ামোছা এবং গোসলের পানির জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় প্রাকৃতিক উৎস পাহাড়ি ঝর্ণার উপর। এছাড়া গর্তে জমা হওয়া পানির ওপর। অপর দিকে শুষ্ক মৌসুম অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত অধিকাংশ ঝর্ণার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পানি সংগ্রহ করতে হয় পাহাড়ি ছড়ার ময়লাযুক্ত ঘোলা পানি, কিংবা টিলার নিচে তৈরি অগভীর গর্ত থেকে। অগভীর কুয়ায় চুইয়ে চুইয়ে আসা পানি বাটিতে করে তুলে ছেঁকে কলসি ভরাতে হয়। মানুষদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এভাবেই নিত্যদিনের পানি সংগ্রহে রীতিমতো সংগ্রাম চলে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।

[caption id="attachment_314726" align="aligncenter" width="828"] বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপিত ডিপ টিউবওয়েল[/caption]

বিশুদ্ধ পানির সংকট থাকায় দুর্ভোগের শিকার নোয়াপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্বসহ অধিকাংশ যুবক-যুবতী প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট পাহাড়ি পথ হেঁটে পানি আনতে যেতে হচ্ছে মৃত ছড়াটির খোঁড়া ছোট একটি গর্তের কাছে। গর্ত থেকে চুইয়ে চুইয়ে পানি বের হয়। সেই পানি বাটিতে তুলে একটু একটু করে কলসি ভরে নিজ নিজ বাড়িতে পানি বহন করে নিতে হয়। এক কলসি পানি নিয়ে প্রশান্তির হাসি হাসেন। ভুক্তভোগীরা মারমা ভাষায় বলেন, ‘রিমা আমিয়াগ্রি দুঃখ্যা’ অর্থাৎ বেশি কষ্ট, পানির কষ্ট।

শীতকাল থেকে পাহাড়ে শুরু হয় পানির কষ্ট। পানীয় জল, ধোয়ামোছাসহ নিত্য দিনের কাজের পানির আকাল থাকে বর্ষার আগ পর্যন্ত। অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে এ ছয় মাস। এই কষ্ট বরাবরের ৫০ বছর যাবত চলছে।

এলাকাবাসি জানান, নিজেদের উদ্যোগে টাকা খরচ করে রিং টিউবওয়েল এবং কুয়ো স্থাপন করলেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। কারণ এর পানিতে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকার কারণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App