×

জাতীয়

চাঁদা না দেয়ায় পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা ঘটায় চক্রটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০১:২৭ পিএম

চাঁদা না দেয়ায় পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা ঘটায় চক্রটি

রাজধানীর শ্যামলীর ইডেন অটো'স মোটরসাইকেল শো-রুমে ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতা জহিরসহ ছয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব।

বিভিন্ন সময়ই শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করতো এ চক্রটি। তাদের এ দাবি মেটাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেই ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হতো তারা। নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ দোকান লুটের মতো ঘটনাও ঘটাতো তারা। শ্যামলীর শো-রুমের মালিকের কাছেও চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা ঘটায় তারা।

রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ইডেন অটো'স মোটরসাইকেল শো-রুমে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরসহ ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। রবিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মঈন বলেন, ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মিরপুরের শ্যামলীবাগ এলাকায় অবস্থিত উত্তরা মটরসের ডিলার ইডেন আটোস নামক শো-রুমে একটি ডাকাত দল শো-রুমে প্রবেশ করে ম্যানেজার ওয়াদুদ সজীব ও মটর মেরামতকারী নুরনবী হাসানকে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে।

এসময় ডাকাত দলের কিছু সদস্য শো-রুমের দোতলায় উঠে গ্লাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ক্যাশ ড্রয়ার ইত্যাদি ভাঙচুর করে ক্যাশ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা এবং ডেস্কটপ মনিটর নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শো-রুমের মালিক কে এম আবদুল খালেক, শেরে বাংলা নগর থানায় ঘটনার পরদিন একটি মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে র‌্যাব ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়ন্দা শাখা ও র‌্যাব-২ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও ধামরাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের হোতা মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরসহ (৩৩), মো. জসিম উদ্দিন (৩৪), মো. জাহিদুল ইসলাম শিকদার (২৬), মো. খায়রুল ভূঁইয়া (২০), মো. রাকিব হাসান (২০) ও মো. নয়নকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৪টি চাপাতি, শো-রুম থেকে লুণ্ঠিত ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য, যার সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন। তারা সকলেই এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে ও এই সূত্রে পরস্পরের পরিচিত।

এই চক্রটি ঢাকার মোহাম্মদপুর, বসিলা, শ্যামলী এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়ে বিগত কয়েক বছর যাবত এলাকার ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে তারা ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। তারপরও কেউ চাঁদা দিতে অসম্মত হলে তারা ভুক্তভোগীদের বাসাবাড়ি অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ও ডাকাতি করে থাকে।

গ্রেপ্তারকৃতদের নামে একাধিক চুরি, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এছাড়াও তারা এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোরিকশার ব্যবসা, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App