×

মুক্তচিন্তা

আওয়ামী লীগকে মাঠে ময়দানে সরব থাকতে হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০১:৫৩ এএম

আওয়ামী লীগ সরকারে আছে ১২ বছর। এই ১২ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। বিএনপিও তিনবার রাষ্ট্র-ক্ষমতায় ছিল। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অদম্য স্পৃহা তৈরি হয়েছে। তারা বিচিত্র কৌশল অবলম্বন করবেই। এই কৌশল আবার অপকৌশলেও রূপ নেবে। ক্ষমতার রাজনীতিতে বিজয়ী হতে পারলে ‘অপকৌশল’ও শেষ পর্যন্ত ‘সুকৌশল’ই হয়ে ওঠে! ক্ষমতা-বলয়ের বাইরে থাকা বিএনপি এবং তার ডান-বামঘেঁষা মিত্ররাও আজ অসহনশীল! যে কোনো সুযোগকেই তারা কাজে লাগাতে তৎপর। সরকার ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারা সাধারণ মানুষকে নানাভাবে উসকেও দেবে। ইতোপূর্বে অনেকবার তারা বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা থেকে সরকার পতনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। সরকারেরও মনে রাখা জরুরি, তাদেরই কোনো অসতর্ক কর্মকাণ্ডের ফাঁক দিয়ে জামায়াত-বিএনপির সাফল্যও আসতে পারে! সুতরাং সতর্ক ও সাবধানতার বিকল্প নেই আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তবু মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথেও থাকা দরকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘দায়িত্ব’ হিসেবে মানেন। ১২ বছরে তার দায়িত্বশীল নেতৃত্বে দেশের প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে- উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবেই বৈশ্বিক পরিচিতি বাংলাদেশের। শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়- উন্নয়ন ঘটেছে সাধারণের জীবনমানেরও। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বেড়েছে সক্ষমতা। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি ঘটলেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতাও বেড়েছে। বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। উন্নয়নের সামগ্রিক সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতির কল্যাণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়ও অভিষিক্ত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারত ও পাকিস্তানকে পর পর কয়েকবার পেছনে ফেলে এশিয়ার টাইগার হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এই উন্নয়ন ও অগ্রগতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘটছে বলে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক চেতনাপুষ্ট ধর্মব্যবসায়ীরা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। নানা ইস্যুতে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। আওয়ামী লীগকে উপলব্ধি করতে হবে আসছে ডিসেম্বরে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বানচাল করার লক্ষ্যেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি দেশের ভেতর কেবল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই নয় ধ্বংসযজ্ঞও চালাতে পারে! কারণ তারা কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী তাদের বিষময়! সুতরাং সরকার এবং আওয়ামী লীগের সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারিও তীক্ষè এবং চৌকস করতে হবে। জামায়াত-বিএনপি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে ছলে-বলে-কৌশলে সরকার পতনের লক্ষ্যে মারিয়া হয়ে উঠবেই। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর ভুল-ভ্রান্তি-বিকৃতি-বিচ্যুতি তাদের মোক্ষম মারণাস্ত্ররূপে কাজ করবে। সাধারণের সম্মুখে তিলকে তাল বানিয়ে, রং লাগিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে ভাইরালও করবে! সাধারণকে নানা পন্থায় উসকে দিতেও থাকবে তৎপর। তাই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিসহ সব নেতাকর্মীর আচরণে দায়িত্বশীল অনিবার্য। শেখ হাসিনার একক প্রচেষ্টায় যখন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত আছে, যখন তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন আমাদের দেখান তখন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে আমরা দেখতে পাই অসততা, অদূরদর্শিতা এবং অসলংগ্ন কমকাণ্ড! দেশের উন্নয়ন ঘটলেও এদের জন্যই নেতিবাচক কিছু প্রত্যয়ও বেড়েছে! বেড়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, বেড়েছে সাম্প্রদায়িক চিন্তার মনস্তাত্ত্বিক মেরুকরণও। সামাজিক অস্থিতিশীলতাসহ খুন, ধর্ষণের পাশাপাশি বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতাও। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসার সমাজমানসকে অন্তর্গতভাবে উন্মূল করেছে। রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসায় সর্বত্রই দুর্নীতিতে আচ্ছন্নপ্রায়! রাজনৈতিক কর্মী, স্কুলের কেরানি, পিয়ন, ড্রাইভার, দর্জি, দোকানদার থেকে শুরু করে আসল ও নকল (!) ঊর্ধ্বতন আমলা, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী এবং পুলিশের বিভিন্ন সারির অফিসারদের মধ্যেও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে! গণমাধ্যমে শ্রেণিপেশা নির্বিশেষের দুর্নীতির এরূপ বিস্তারদৃষ্টে সাধারণের মনস্তাত্ত্বিক জগৎও বিপর্যস্ত। ওপরে বর্ণিত পেশাগুলো প্রতীকী মাত্র! শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ সব পেশাজীবীর মধ্যেই আমরা আর্থিক বিষয়ে অস্বচ্ছতার চরম দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। বিপুল পরিমাণ অর্থের এমন অনর্থপাত দেখে মনে হয় এসব অর্থের সঠিক ব্যয়ব্যবস্থা নিশ্চিত সম্ভব হলে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যেতে পারত! বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে- বেড়েছে নির্বিচারে। জামায়াত-বিএনপি এমনকি যুদ্ধাপরাধী বা তাদের বংশধররাও আওয়ামী লীগের ছাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছেন- সাচ্চা কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠাও করে ফেলেছেন নিজেদের! তাই বেড়েছে সুবিধাভোগীর সংখ্যা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিষয়টি অবগত। তারা এদের নাম দিয়েছেন ‘হাইব্রিড’। হাইব্রিড নেতাকর্মীর সংখ্যা এতই বিপুল যে, প্রকৃত নেতাকর্মীদেরই এখন চেনা কঠিন, ত্যাগীরা আড়ালে পড়ে গেছেন! তাই বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি তো বটেই সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে অভিযুক্তরাও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার সুযোগ পান! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রধান আসামিরা নির্বাচনের টিকেট পেয়েছিলেন! গণমাধ্যমে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেসব প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পদস্থ কর্মীরাও সত্যাসত্য যাচাই ছাড়াই কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননা নিয়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াতে তৎপর হয়! যদিও এরাও বহিষ্কৃত হয়েছেন। সাম্প্রদায়িক মানসিকতা লালনকারী শত-সহস্র কর্মী আওয়ামী লীগে ঢুকে গেছেন, যারা কেবল সুবিধাভোগে জন্য মুখে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগান দেন! বঙ্গবন্ধু কিংবা আওয়ামী-আদর্শ এদের অন্তরে নেই! দলকে ঘটনা পরম্পরায় গুরুত্বের সঙ্গে এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আওয়ামী লীগকে অবশ্যই এই আত্মসমালোচনাও করতে হবে- দীর্ঘ ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে এক শ্রেণির নেতাকর্মী দুর্নীতি ও অবৈধ পন্থায় অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন! বিত্ত-বৈভবে ফুলে-ফেঁপে স্ব-স্ব এলাকায় তারা ‘ত্রাস’ হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন! ফলে শান্তিপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ বজায় রেখে চলতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিচ্ছিন্নতা বোধ তৈরি হওয়ায় শান্তিবাদীদের মধ্যে এক প্রকার উদাসীনতাও তৈরি হয়েছে। বারো বছরে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনকারীরা একদিকে এবং অন্যদিকে মৌন অবস্থান নিয়েছেন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ ত্যাগী নেতাকর্মীরা। দলীয় সব কর্মকাণ্ডে সবার সমান অংশগ্রহণেও এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ২০২৩ সালের শেষদিক। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচাতে হবে। বিচ্ছিন্নতার অবসানও ঘটাতে হবে অনেকের মন থেকে। ক্ষমতায় থেকে কিংবা ক্ষমতার আরাম-আয়েশে যারা এতদিন আশ্বস্ত ছিলেন তাদের ঘর থেকে বের হয়ে সাধারণের দাবি ও চাহিদা নিয়ে কথা বলার জন্য রাজপথে দাঁড়াতে হবে। ক্ষমতায় থাকলেও জনগণের ইস্যু নিয়ে দলকে মাঝেমধ্যে রাজপথের মিছিলেও আসতে হবে। মিছিলে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা বলতে হবে। মিছিলে দাঁড়ালে অভ্যন্তরীণ তিক্ততারও অনেকটা অবসান হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা প্রয়োজন। মিছিলে উচ্চারিত সেøাগানে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের প্রতি হুংকারও থাকতে হবে। আওয়ামী লীগকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে অনৈক্যেই সর্বনাশ! হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালীন ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিমার পায়ের কাছে পবিত্র কুরআন শরিফ রেখে উসকানির মাধ্যমে দেশব্যাপী অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের এই অপকৌশল বিশ্বের সর্বত্র উন্মোচিত। কুমিল্লাকাণ্ডে অসাম্প্রদায়িক চেতনাপুষ্ট বিশ্ব মানবতাও আজ প্রতিবাদমুখর। কিন্তু তার আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে সম্প্রতি আমরা আওয়ামী লীগের ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ নামের কর্মসূচি দেখলাম। এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত স্পর্শকাতর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত- এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও আছে। কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আজ আতঙ্কগ্রস্ত! আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছে। মাঝেমধ্যে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে মানুষ স্বস্তি পায়। সম্প্রীতি সমাবেশে যেমন হিন্দু সম্প্রদায় আশ্বস্ত হয়েছে তেমনি বিগত নভেম্বর-ডিসেম্বরে যখন দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য ভাঙচুরে মেতে উঠেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তি তখন দেরিতে হলেও আওয়ামী লীগ মাঠে নামায় সংস্কৃতিবান-সংখ্যালঘুরা (!) আশ্বস্ত হয়েছিল। ক্ষমতালোভী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিচিত্র কৌশলের কথা নাইবা বললাম- কেননা ষড়যন্ত্র সর্বদা গোপনেই সংঘটিত হয়- তা আমাদের জানার বাইরেই থাকে! বিশ্বের সব প্রান্তের বাঙালির মনে কালিমা লিপ্ত করেছে কুমিল্লাকাণ্ড। এবার দুর্গাপূজায় দেশে যা ঘটে গেল তা আমাদের কাম্য ছিল না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বারবারই বলা হচ্ছিল, পূজামণ্ডপে হামলার কোনো আশঙ্কা নেই! অথচ শুধু পূজামণ্ডপে হামলাই নয় বিভিন্ন অঞ্চলে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মধ্য দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে আরো সতর্ক হওয়ার বার্তাই যেন দিয়ে গেল ষড়যন্ত্রীরা! আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার শত্রæর সংখ্যা কম নয়, কম নয় ডান-বাম নির্বিশেষে ষড়যন্ত্রকারীর সংখ্যাও। সাম্প্রদায়িকতার বীজ রাষ্ট্র থেকে উন্মূলের লক্ষ্যে মননের পরিবর্তন দরকার। কিন্তু আমাদের ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড’ পরিচ্ছন্ন ব্যতিরেকে তা সম্ভব নয়। সেখানে সব কনটেন্ট সহজলভ্য তাতে সহজেই শিশু-কিশোরদের মগজধোলাই সম্পন্ন হয়ে যায়। যৌবনে পৌঁছানোর আগেই তারা সাম্প্রদায়িকতার বীজ অন্তরে রোপণ করে ফেলেন! ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মেও প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত মনোভাবকেই তারা আদর্শরূপে গ্রহণ করে। সেই মানসিক পটভূমিতে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত করা কষ্টকর। তরুণ সমাজকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ফেরানো কতটা সম্ভব জানি না। আমরা আমাদের সময় নষ্ট করে ফেলেছি! স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ষ চলছে। আসছে ডিসেম্বরে আমাদের বিজয়েরও সুবর্ণজয়ন্তী। বুঝতে পারছি, তাও বানচালের চেষ্টা করা হবে! স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় যেমন দেখেছি তেমন বিশৃঙ্খলা আবার ডিসেম্বরেও দেখতে হতে পারে, কে জানে! আগে থেকেই কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App