×

মুক্তচিন্তা

সহিংসতা সনাতনদের অস্তিত্বের সংকট নয়!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০১:১৭ এএম

বাংলাদেশে মূর্তি ভাঙা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হিন্দুদের ওপরে আক্রমণ নিয়ে ভারতের ১১২ কোটি হিন্দুর মধ্যে বড়জোর ৬ কোটি বাঙালি হিন্দুর কিছু উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার বাইরে এ ঘটনাক্রম নিয়ে কোনো ভারতবাসী সামান্যতম তাপ-উত্তাপ প্রকাশ করেননি। আসলে বাঙালি বাদে কোনো ভারতীয়র বাংলাদেশ নিয়ে আলাদা কোনো উৎসাহ নেই। অথচ অধিকাংশ বাংলাদেশির ভাবনার অর্ধেক জুড়ে রয়েছে ভারত। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে তার অবচেতন থেকে উঠে আসা একটি বাক্য- ‘সেখানেও (ভারতে) এমন কিছু যেন না করা হয় যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে, আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে।’ কলকাতায় কিছু ধর্মীয় সংগঠন বিক্ষোভ দেখাবে, কারণ এটাই তাদের কাজ। কিছু বাঙালি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র ভাষা প্রয়োগ করবেন। এর বাইরে? নাহ, কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু প্রশ্ন এই যে এত বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল কিন্তু সবার এই হিরণ¥য় নীরবতা কেন? আসলে আজ বাস্তব এই যে ভারতীয় উপমহাদেশে অধিকাংশ দেশে যতই বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা এখন বলা হোক না কেন, সেই দেশের মানবসমাজ দুটি দলে বিভক্ত। এক, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত যারা এবং দুই, আম জনগণ। এদের সম্পর্ক আজ কী? সম্পূর্ণভাবে ভীতি, অশ্রদ্ধা, ঘৃণা ও উপেক্ষার। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মানুষ যারা ক্ষমতায় আছেন তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন, যারা নেই তারা বলেন আমাদের সময় আসুক। অপরাধ ঘটে, তার বিচার এত বিলম্বিত হয় সে প্রকৃত অপরাধী ছাড়া পেয়ে সমাজের বুকে নৃত্য করে। তাই সাধারণ মানুষের অন্যকিছু করার উপায় থাকে না এই রাজনীতির লোকদের ঘৃণা ও উপেক্ষা করা ছাড়া। একসময় পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা হতো না। সংখ্যালঘু তোষণ বা নিষ্পেষণ কিছুই হতো না। প্রখ্যাত হিন্দি গীতিকার কবি জাভেদ আখতার জ্যোতি বসুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা কেন হয় না? জ্যোতিবাবু উত্তর দিয়েছিলেন, সরকার চায় না বলে। অথচ এখন পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় সংঘাতের ঘটনা বেশ কিছু ঘটেছে অতি সাম্প্রতিককালে। তার মানে কি এই যে সরকার চেয়েছিল বলে ঘটেছে? না, পুরোপুরি তা নয়। এখন সরকার বা দলের ওপর মহলের চরিত্রের সততা প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষ তাদের দেখছে অসৎ বলে। তাহলে দলের নিচুতলা ভাবছে তুমি অসৎ হইলে আমি সৎ হইব কেন? আমি আমার স্থানীয় স্বার্থ বুঝিয়া লইব। এবারে আসি ধর্ম প্রসঙ্গে। যতদিন রাষ্ট্রচালনার সঙ্গে ধর্মকে আলাদা করা সম্ভব হয়েছে ততদিন সংঘাত সামলানো গেছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হওয়ায় এই সংঘাত যে হওয়ার ছিল তা এখন বুঝতে পণ্ডিত হতে হয় না। কিন্তু দেশ ভাগের প্রায় ৭৫ বছর হলো। এখন কেন সংঘাত হবে? এর কারণ দুটি। সম্পত্তির লোভ অথবা রাজনীতি। এখন হিন্দুদের এমন কিছু সম্পত্তি বাংলাদেশে বা মুসলমানদের ভারতে নেই যে তার ভিত্তিতে ধর্মীয় দাঙ্গা ঘটাতে হবে। কাজেই রাজনীতি এই সংঘাতের মূল কারণ। হিন্দু সমর্থিত দলকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই দাঙ্গা বা সংঘাত ঘটানোর কারণ এই তত্ত্ব বোধহয় অতি সরলীকরণ। দলকে বুঝতে হবে তাদের দলে বেনোজলের পরিমাণ কত। যে কোনো দেশে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে এই বেনোজলের প্রাদুর্ভাব দলে প্রকট হয় এবং এরাই দলকে ক্ষমতা থেকে নির্বাসিত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নেয়। এর উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গে আছে। আবার ধর্মের তাসে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার উদাহরণ আছে। তবে নেতৃত্ব কোন দিকে হাঁটবে? প্রশ্ন একটাই ওপর ওপর মলম লাগালে এই ক্ষত সারবার নয়। আঘাত করতে হবে গোড়ায়। বর্তমানে নতুন চালু হয়েছে ওয়াজ বা ধর্মীয় সভা। বাংলাদেশে আগেও ছিল, পশ্চিমবঙ্গে বেশ নতুন। এই ওয়াজের বক্তব্য আবার সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ছড়িয়ে যাচ্ছে। যে কোনো ধর্মের মূল বক্তব্য যদি ওয়াজে আলোচিত হয় তাহলে তা জনপ্রিয়তা পায় না। কাজেই বিকৃত বক্তব্য ও অন্য ধর্মের প্রতি বা অন্য মতাবলম্বীর প্রতি বিষোদ্গার পাবলিক খায় ভালো। কাজেই ধর্মের মূল তত্ত্ব থেকে সরে গিয়ে বিষবাষ্প যে অর্ধশিক্ষিত ধর্মগুরুরা ছড়ান অশিক্ষিত জনগণ তাকেই সত্য বলে ধরে নেয়। এখানে রাষ্ট্রের ভূমিকা আছে। প্রশাসনের থেকে অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল বা ধর্ম সভা করা যায় না। প্রশাসন এই অনুমতি তুলে নিক। একইভাবে খোল-করতাল নিয়ে কাকভোরে বিকৃত চিৎকারে নগর সংকীর্তন বন্ধ করুক। ইসকন নিয়ে আমার সামান্য বক্তব্য আছে। এরা যখন প্রসাদ বিতরণ করেন তখন বলতে বলেন হরে কৃষ্ণ। কলকাতায়ও একই চিত্র। কেন? তুমি যখন খাবার বা প্রসাদ বিতরণ করছ তখন কি লিখছ যে শর্তপূরণে প্রসাদ দেয়া হবে? একইভাবে ওদের সাদা চামড়ার বিদেশি ভক্ত ও বাদামি চামড়ার দেশি ভক্ত একইভাবে সমাদৃত হন। শ্রীচৈতন্য দেবের শ্রেণিহীন আন্দোলনের পশ্চাতে এক কালো টিকা এই দলের কাণ্ডকারখানা। বাংলাদেশে আরেক বিপদ পাঠক্রমে ধর্ম একটি বিষয়। যে কোনো ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। সেটা চাপানো হবে কেন? ভারতে সূ²ভাবে এটা চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সোচ্চার প্রতিবাদের কারণে চাপানো সম্ভব হয়নি। এরপরে আবার সরকার কর্তৃক ধর্মীয় কার্যকলাপ স্পনসর করা। মসজিদ বানিয়ে দিচ্ছে সরকার, মন্দির বানিয়ে দিচ্ছে সরকার, দুর্গাপূজায় ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছে। কেন? কীভাবে? সাধারণ করদাতাদের অর্থখরচ হওয়ার কথা নাগরিক কল্যাণে। এভাবে কেন? আজ বারবার প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় নেতাদের পুষছেন। ক্রমে ক্রমে তারাই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে উঠছেন। কথাটা বাংলাদেশে কতটা সত্যি আমার জানা নেই, তবে ভারতে অবশ্যই। বিজেপির বিরুদ্ধে এই কারণে এতদিন আঙুল তোলা হতো, কিন্তু ওয়াজের বাদশা অর্ধশিক্ষিত আব্বাসের সঙ্গে বামপন্থিদের মাখামাখি স্পষ্ট বুঝিয়েছে রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের মেরুকরণের বদলে আলিঙ্গন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য এই যে এখানে মানুষের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে যে এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই। কোন এক ইকবাল হোসেন, হয়তো সে ইয়াবাখোর, হয়তো নেশার ঘোরে এমন কাণ্ড বাধিয়েছে, সে অপরাধী অবশ্যই, কিন্তু তারপরের ঘটনাগুলো? সেটা তো কোনো ইয়াবাখোরের কাণ্ড নয়, পরিকল্পিতভাবেই হিন্দুদের ওপরে হাঙ্গামা চালানো হয়েছে। এর মূল কারণ মানসিকতা। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে এক মাতাল গান্ধীমূর্তি থেকে চশমা খুলে পালিয়েছিল। গান্ধীজি এদেশে শ্রদ্ধেয়, জাতির পিতা। সেই মাতালকে নিছক পুলিশি পিট্টি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ধুলাগড় বা বসিরহাটে ধর্মীয় সংঘাতের নামে মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ি ভেঙেছিল, পিটিয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে দাঙ্গা বাধেনি। বাংলাদেশের মানুষের ভারতের বিজেপি সম্পর্কে অ্যালার্জি আছে। কারণ তারা হিন্দুত্ববাদী দল। আসলে বাংলাদেশের অধিকাংশের হিন্দুত্ববাদ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। এমনকি সে দেশের নামি সাংবাদিকদেরও। হিন্দু কোনো ধর্মের নাম নয়। ধর্মের নাম সনাতন। হিন্দুস্তানে বসবাসকারীদের হিন্দুস্তানি বা হিন্দু বলা হতো। ১৯৪০ সালে পাকিস্তান প্রস্তাব পেশের পরে তৎকালীন মুসলমানরা নিজেদের হিন্দু বলতে অস্বীকার করল। তাদের হঠাৎ জাগরিত বিবেক থেকে ধুতি ছেড়ে তামিল ব্রাহ্মণদের লুঙ্গিকে নিজস্ব আইডেন্টিটি হিসেবে চিহ্নিত করল। তারপরে দেশভাগ। বিজেপি সেই জাতীয়তাবাদকে হিন্দুত্বের মোড়কে রাজনীতির স্বার্থে বিক্রি করল। তাতে ভোট এলো। ভারতে সবচেয়ে বড় শক্তি এদেশের সংবিধান। যা ধর্মীয় গণ্ডিবদ্ধতার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক। কাজেই বাংলাদেশে হিন্দু থাকতে পারে না। যারা আছেন তারা সনাতন ধর্মীয়। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মীয়রা ভারতের সনাতন ধর্মীয়দের মতো প্রগতিশীল নন। ১৯৩৭ সালের হিন্দু আইন অনুযায়ী, মেয়েরা কোনো সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নন। তবে বিধবা হওয়ার পর সন্তান নাবালক থাকা অবস্থায় তারা শুধু বসতবাড়ির অধিকারী হন। দীর্ঘ ৮৪ বছরেও এই আইনে পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশে পুরুষের বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা বা সীমা নেই। একজন পুরুষ চাইলেই একাধিক বিয়ে করতে পারেন, একই সঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু নারী কোনোভাবেই স্বামীর জীবদ্দশায় আর একটি বিয়ে করতে পারেন না। নারী কেবল সীমিত ক্ষেত্রে জীবনস্বত্বে সম্পত্তির অধিকারী হতে পারেন। হাজার নিগ্রহ সত্ত্বেও স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদ পাবেন না। ফলে তিনি আর কোনো বিয়েও করতে পারবেন না, কারণ বিবাহবিচ্ছেদের কোনো আইনি অস্তিত্বই দেশে নেই। ভারতে ১৯৫৫ সালে প্রাচীন হিন্দু আইনে ব্যাপক সংস্কার করে নতুন বিবাহ আইন তৈরি হয়, বহুপতœীর বিধান বিলুপ্ত হয়। বিবাহবিচ্ছেদ পদ্ধতির প্রবর্তন হয়। প্রাচীন দায়ভাগ এবং মিতাক্ষরা নির্ধারিত সম্পত্তির উত্তরাধিকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে বাবা-মায়ের সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমান অংশ স্বীকৃত হয়। কিন্তু তদানীন্তন পাকিস্তানে পুরনো সেই হিন্দু আইন বলবৎ থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে হিন্দু নারীর মানবাধিকার লাঞ্ছিত। হিন্দু পরিবারে পুত্রসন্তান থাকলে বাবা-মায়ের সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার নেই। পুত্র না থাকলে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে মেয়ে প্রয়াত পিতার সম্পত্তি ভোগ করার অধিকার পেলেও তা কেবল জীবনস্বত্বে সম্পত্তি ভোগ করার অধিকার, যথার্থ মালিকানা (বিক্রি, দান কিংবা হস্তান্তরের অধিকার) নয়। বাংলাদেশে হিন্দু আইনে দত্তক অনুমোদিত। কিন্তু কেবল ছেলেদেরই দত্তক নেয়া যায়। কন্যা দত্তক আইনসিদ্ধ নয়। কেন না শাস্ত্র মতে পুত্রসন্তানই বংশের ধারা বজায় রাখে এবং পিণ্ডদান করতে পারে। কেবল পিণ্ডদানের অধিকারীই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারে। বাংলাদেশে কোনো মহিলা দত্তক নেয়ার অধিকারী নন। হিন্দু আইন অসবর্ণ বিয়েও অনুমোদন করে না। বাংলাদেশে হিন্দু আইনে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনও হয় না। বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে ২০১২ সা?লে বিবাহ নিবন্ধন আইন পাস করা হয় বাংলাদেশে। কিন্তু দেখা গেল বাধ্যতামূলক না করে রেজিস্ট্রেশন ঐচ্ছিক করা হয়েছে। বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা না থাকায় হিন্দু পুরুষ তার স্ত্রীকে ছেড়ে চলে গেলে স্ত্রী কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন না। সরকার কিছু করতে পারে না কারণ হিন্দুনেতাদের আপত্তি। তাদের বক্তব্য অদ্ভুত। ‘স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে দুর্বল করে রাখার অলিখিত নিয়ম অনুসরণ করেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না দেয়া পর্যন্ত পারিবারিক আইন সংশোধন সম্ভব নয়।’ তাদের যুক্তি, হিন্দু আইন তাদের ধর্মের অঙ্গ। এই আইনের সংস্কারকে তারা ‘হিন্দু পারিবারিক ঐতিহ্যের ওপর আঘাত’ বলে মনে করেন। খুব চেনা মনে হচ্ছে না যুক্তিগুলো? এহেন হিন্দুদের জন্য এপারের হিন্দুরা কাঁদছেন না। এপারের প্রতিবাদ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে। কোনো যুক্তিতে এই হাঙ্গামা মেনে নেয়া যায় না। কিন্তু ভবিষ্যতে এহেন সংঘাত এড়াতে যদি সমাজসংস্কার করা হয় তাহলে দুই ধর্মের ক্ষেত্রে একই রকমের সংস্কার করা আশু প্রয়োজন। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মীয়দের মনে রাখা উচিত তাদের সংঘবদ্ধ হয়ে বসতে হবে আলোচনায় এবং নিজ সমাজের সংস্কার আগে করতে হবে। কারণ সমস্যা আপনাদের, সমাধানও আপনাদের হাতে।

অমিত গোস্বামী : কবি ও লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App