×

জাতীয়

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৮ পিএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় সবুজবাগে ও যাত্রাবাড়ীতে নারীসহ দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- আশরাফুল আলী বাবু (১৬) ও খাদিজা আক্তার (২১)। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে দক্ষিণ মাদারটেক বাগানবাড়ি কবরস্থান সংলগ্ন ১২৭/এ নম্বর বাড়ি থেকে বাবুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে টিনসেড বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিমান করে সে শুক্রবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে বাবুর বাবা ফরিদ হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে। তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছিল বাবু। স্থানীয় বাগানবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়তো সে। দুই দিন আগে বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিলো। ওই ঘটনার জন্য বাড়িতে বিচার দিয়েছিলো তারা। এরপর থেকে মন খারাপ করে ছিল বাবু।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের সবার অগোচরে পাশের আরেকটি টিনসেট ঘরে উপরে কাঠের পাটাতনে উঠে আড়ার সঙ্গে রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। বেশ কিছুক্ষণ তাকে না দেখে খোঁজাখুজি শুরু করেন তারা। এরপর পাটাতনের উপর তাকে দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে বাবুর মৃতদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতে বাসা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে স্বামী মাসুক মিয়া অচেতন অবস্থায় খাদিজা আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী বাগিচা এলাকার মামুনের বাড়িতে ভাড়া থাকতো তারা। তিন মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে তাদের। তার স্বামী মোবাইলের দোকানদার। দোকান থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাসায় গিয়ে দেখে রুমের দরজা বন্ধ। তখন বাড়িওয়ালাসহ দরজা ভেঙে দেখতে পান স্ত্রী খাদিজা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। তখন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢামেক হাসপাতালে। কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে প্রসঙ্গে স্বজনরা কিছু জানাননি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App