×

জাতীয়

গ্রিন হাউজ গ্যাস ‘নেট জিরো’তে নামিয়ে আনার আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২৫ পিএম

গ্রিন হাউজ গ্যাস ‘নেট জিরো’তে নামিয়ে আনার আহ্বান

গোলটেবিল বৈঠক

‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করার কথা থাকলেও শিল্পোন্নত দেশগুলো এ প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করছে না বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সি.পি.আর.ডি) প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা।

২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের পরের পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থায়নের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছি, শিল্পোন্নত দেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এবং উন্নয়নশীল বিশ্বকে ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। আমরা কপ-২৬ এর কাছে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন ‘নেট জিরো’তে নামিয়ে আনতে শক্ত পদক্ষেপ আশা করি।

লস এন্ড ড্যামেজের বিষয়ে প্যারিস এগ্রিমেন্ট এর ‘আর্টিক্যাল- ৮’ এ বলা থাকলেও এর ফাইনান্সিং মেকানিজম এখনো তৈরি হয়নি, কপ-২৬ এ একটি ফাইনান্সিং মেকানিজম চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ডেইলি স্টার সেন্টারে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সি.পি.আর.ডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিডিপি, ক্লিন, আরআইবি, এসডিএস- সহ কয়েকটি বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ‘ইউএনসিসি-এর ২৬তম জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলন এর প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা এবং প্রস্তাবনা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে মো: শামসুদ্দোহা এসব কথা বলেন।

গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব ধরিত্রী সরকার, সি.ডি.পি.’র নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গির হাসান মাসুম, এস.ডি.এস. এর নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ আমিনুল হকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে ধরিত্রী সরকার বলেন, উন্নত বিশ্ব বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ানোকে প্রাক-শিল্প বিপ্লব সময়ের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে বলেছে, কিন্তু আইপিসিসি রিপোর্ট -৬ এর পর এটি আরো স্পষ্ট হয়েছে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যথাযথ এসডিসি ডকুমেন্টই পারে এ বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনাতে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় আমাদের সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সরকার, গবেষক, নীতি-নির্ধারক এবং নাগরিক সমাজকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। আমরা এ অন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি সিপিআরডিসহ আয়োজক সংগঠন গুলোকে ধন্যবাদ দেন।

আমিনুল হক বলেন, কয়েকটি দেশ আইপিসিসি’র রিপোর্টকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সে দেশগুলো এবার কপেও তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করি। আমাদের পক্ষ থেকে অংশ নেয়া নেগোশিয়েটর এবং নাগরিক সমাজকে আগামী কপে তাদের সেই অপচেষ্টাকে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি সিভিএফ ফোরামকে একটি নেগোশিয়েশন স্টেটাস দেয়ার আহ্বান জানান।

জাহাঙ্গির হাসান মাসুম বলেন, ইউএনসিসিসি মূলত দাঁড়িয়েছিল কার্বন মিটিগেশনকে উদ্দেশ্য করে। আমরা যদি কার্বন নির্গমন কমানোর উপরই মূল চাপ প্রয়োগটি অব্যাহত রাখতে পারতাম তাহলে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন রকম থাকত। তিনি অভিযোগ করে বলেন উন্নত বিশে^র পক্ষ থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ইস্যুকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিয়ে আসা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App