প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা না আসা এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা তাদের আহ্বান করতে পারি নির্বাচনে আসার জন্য। বিএনপি’র প্রার্থীরা প্রতীকে নির্বাচন না করলেও তারা ভিন্নভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বাইরেও প্রার্থীর জনপ্রিয়তাই জয়লাভের আসল কারণ।

বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউজে আসন্ন সিংগাইর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ওই সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সানোয়ারুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা ইকবাল হোসেন, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লাইলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ হাবিবুর রহমানসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাগুরায় একটা অনাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে। নির্বাচনের আগেই এই ঘটনা আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করেছে। ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্ততি রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ও পরে ৪৮ ঘন্টা আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করি কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিনা।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে জেলা প্রশাসকের তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি মোতায়ন করা যেতে পারে। নির্বাচনে বেশি ফোর্স বাড়ানো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট।