×

জাতীয়

রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজন পণ্যের বহুমুখীকরণ: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৫ এএম

রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজন পণ্যের বহুমুখীকরণ: প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: বিটিভি থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে পণ্যের বহুমুখীকরণ প্রয়োজন। রপ্তানি পণ্য বেড়েছে তবে আরও বাড়াতে হবে সেজন্য আমি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আগামী বাণিজ্য মেলা এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছে সরকার। আমারা একমুখী হলে চলবে না। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পন্য তৈরি করতে হবে। সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে তবে ব্যবসায়ীদেরও চেষ্টা করতে হবে। আমাদের পাটজাত পণ্য রয়েছে। যা সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী পণ্য। সেইসঙ্গে চামড়াজাত, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্ণিচার, ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের পন্যও রপ্তানিমুখী করতে হবে। কোন দেশে কোন পন্য প্রয়োজন সেই খবর নিতে হবে। সে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারীর কারণে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে, আমরা থেমেও থাকিনি। আমরা ১৪.১২ শতাংশ রপ্তানি আয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। অর্থাৎ ৪৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনার মধ্যে এটাও আমাদের বিশেষ অর্জন।

এসময় তিনি এক্সিবিশন সেন্টার নিয়ে বলেন, আগে আমাদের বাণিজ্য মেলা খোলা জায়গায় হতো। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একটা ভালো জায়গা তৈরি করব যেখানে সারা বছর মেলা চলবে। তাই এই এক্সিবিশন কেন্দ্র তৈরি করেছি। তবে আমার দুর্ভাগ্য আমি নিজে গিয়ে দেখে আসতে পারিনি। তবে আমরা আরও এগিয়ে যাবো।  আমারা ডিজিটাল বাংলাদেশে আছি। ব্যবসাকেও ডিজিটালাইজেশন করছি। একসময় ডিজিটাল পন্য হবে আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য।

এর আগে  ৭ ফেব্রুয়ারি এক্সিবিশন সেন্টারটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।

চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মালিকানায় পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে, দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ও সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।

এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে চীনের অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ২৩১ কোটি টাকা ও ইপিবি নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে।

এক্সিবিশন সেন্টারে তৈরি করা ফ্লোরের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গমিটার, বিল্ডিংয়ের ফ্লোরের আয়তন ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার, এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলে ৮০০টি বুথ রয়েছে, প্রতিটি বুথের আয়তন ৯ দশমিক ৬৭ বর্গমিটার।

দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে আর এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।

এছাড়াও রয়েছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম, ছয়টি মিটিং রুম, ৫০০ আসনবিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার স্পেস, নামাজের কক্ষ, অফিস রুম দুটি, মেডিকেল রুম, ডরমেটরি-গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট ইন পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেটসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App