কুমিল্লার মূলহোতাকে লুকিয়ে রাখা হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ০২:৪৬ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মূল হোতা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন না। এর ফলে তার অবস্থান জানা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মূল হোতার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, হয়তো যারা তাকে পাঠিয়েছিল তারা তাকে লুকিয়ে রাখতে পারে। আমরা মূল হোতাকে চিহ্নিত করেছি।
স্থানীয়রা বলছেন, নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগরসংলগ্ন দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা।
ইকবালের পরিবারের দাবি, তিনি কখনো বাসচালকের সহকারী, কখনো রংমিস্ত্রির কাজ করেন। বিয়ে করেছেন দুটি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ বছর আগে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই সংসারে তাঁর এক ছেলে আছে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে গেছেন। এ সংসারে তাঁর একটি মেয়ে আছে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ইকবালের বাবা নুর আহমেদ আলম, মামা তাজুল ইসলাম ও ভাই সাফায়েত হোসেনকে পুলিশ নিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ইকবাল হোসেন মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের যন্ত্রণা করতেন তিনি। ইকবালের মূল বাড়ি ছিল তেলিকোনা এলাকায়। ওই এলাকার ভিটাবাড়ি বিক্রি করে তাঁরা ভাড়া থাকেন দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড় এলাকায়। নুর আহমেদ আলম ও বিবি আমেনা বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ইকবাল হোসেন সবার বড়।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের পূজামণ্ডপে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে হনুমানের মূর্তির ওপর পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।