কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা আজ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৩ এএম
ফাইল ছবি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দেবী দুর্গা ফিরে গিয়েছেন নিজ গৃহে। রয়ে গিয়েছেন তার কন্যা দেবী লক্ষ্মী। শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতেই লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়। আজ বুধবার সেই তিথি। আজ প্রতি ঘরে পূজিতা হবেন দেবী লক্ষ্মী। তবে শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে এবং তারপরও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার রেশ পূজার আনন্দ আয়োজনকে যেন অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নেই পূজার আমেজ।
শাস্ত্রমতে, দেবী লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী হিসেবে পূজিত হন। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দিন লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন।
প্রাচীনকাল থেকেই রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে লক্ষ্মীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন। করোনা সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন মন্দিরে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করা হয়েছে সীমিত পরিসরে। মন্দিরের চেয়ে ঘরোয়া পরিবেশে পূজার আনুষ্ঠানিকতা বেশি করা হয়। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হবে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। বাঙালি বিশ্বাসে লক্ষ্মীদেবী দ্বিভূজা ও তার বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভাণ্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়।