×

মুক্তচিন্তা

এই হামলার চূড়ান্ত লক্ষ্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২১, ০৬:১২ এএম

বাঙালির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এবার যেসব কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, চৌমুহনী, বেগমগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পীরগঞ্জে রাতের আঁধারে সাধারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা হয়েছে তা এখানেই শেষ কিনা বলা মুশকিল। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ পূজাকে পণ্ড করার জন্য শুধু এমন ঘটনা ঘটেছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করা মোটেও যুক্তিযুক্ত হবে না। যেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এসব অমানবিক, হিংসাত্মক, ধর্মবিরোধী এবং নানা ধরনের ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার মতো ঘটনায় সংঘবদ্ধভাবে লিপ্ত হয়েছিল, তারা সংখ্যায় যত না, তার চেয়ে ঢের বেশি সমর্থক এই সমাজের আনাচে-কানাচে এখন অবস্থান করছে। তাদের শক্তিকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। অন্যদিকে এদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনমত কতটা অসংগঠিত, দোদুল্যমান এবং নিঃস্পৃহ সেটিও একদিনের ঘটনায় স্পষ্ট ধরা পড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলো মুখে ও অন্তরে এই ঘটনাবলি নিয়ে এক ধরনের আচরণ করছে না- সেটিও কথাবার্তা, আচার-আচরণ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং ভিন্ন খাতে অপরাধকে প্রবাহিত করার যেসব অপচেষ্টা করছে সেটিও কমবেশি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। এখনো রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো দায়িত্বের সঙ্গে পরিদর্শন করেনি। বোঝার চেষ্টা করেনি প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য কতটা সুদূরপ্রসারী ছিল। সেসব সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলো কতটা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঘটনার পূর্বাপর একটি পর্যবেক্ষণ নিজ দলের জন্য হাজির করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় কোন কোন অপশক্তি এসব ঘটনা সংঘটিত করার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা আসলেই স্থানীয় নাকি পরিকল্পিতভাবে অস্থানীয়দের দিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছিল সেটিও নজরে আনার বিষয়। কেননা বাংলাদেশে এখন সমাজের অভ্যন্তরে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য যারা দীর্ঘদিন থেকে তৎপর তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। তারা হুটহাট কিছু করে না। অনেক কিছুই ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখার মতো বুদ্ধিজ্ঞান নিয়ে তারা অঘটন ঘটাতে যথেষ্ট, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দক্ষতা রাখে। সুতরাং কুমিল্লায় যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যে সবাই সেখানকার দুষ্কৃতকারী এমনটি ভেবে বসে থাকার সুযোগ নেই। একইভাবে অন্যত্র যারা মন্দির ভাঙা, আগুন জ্বালিয়ে দেয়া, ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া কিংবা নিরীহ মানুষকে আহত-নিহত করার কাজে অংশ নিয়েছিল তারাও যে সবাই এলাকার সাম্প্রদায়িক কিংবা উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক তা কতটা সত্য কিংবা সেই ধারণা নিয়ে নির্ভার থাকা যাবে সেটিও বড় ধরনের প্রশ্ন। আমার ধারণা এবার অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত কিংবা এখনো যেসব হামলা বিভিন্ন জায়গায় ঘটানো হয়েছে বা ঘটছে তা মোটেও তাৎক্ষণিক বা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। এগুলো বেশ আগে থেকেই বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে স্থান, বিষয় এবং হামলার নানা মাত্রিকতার ছক তৈরি করে রেখেছিল। এর পেছনে পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে নানা ধরনের বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের আদান-প্রদান করা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টিকে কীভাবে তারা আপাতত পূজাকেন্দ্রিক বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় সেটিরও হয়তো তাদের একটি নীলনকশা ছিল। বৃহত্তর মুসলমানরা যেন ক্রমেই আরো বেশি দুর্গাপূজাবিরোধী মনোভাবাপন্ন হয়ে ওঠে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে দূরত্ব বজায় রাখে সে ধরনের কর্ম পরিকল্পনাও তাদের কমবেশি ছিল। সে কারণেই তারা ঘটনার সূত্রপাতে কুরআন অবমাননার যে নাটক কুমিল্লায় মঞ্চস্থ করেছিল, সেটির প্রচার-প্রচারণায় লাইভ, ফেসবুক, অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তাতে সাধারণ মুসলমান বিক্ষুব্ধ হওয়ারই কথা! ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করা, সত্যতা নিরূপণ করা এবং প্রকৃত অপরাধী কে সেটি জানা ও বোঝার আগেই দেশব্যাপী মানুষকে কুরআন অবমাননার একটি বার্তা ছড়িয়ে দেয়া হলো। স্বভাবতই সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আহত হওয়ার কথা। এ ধরনের ঘটনা কোনো কালে, কোনো মন্দির বা মণ্ডপে ঘটেছে এমন কোনো নজির এ পর্যন্ত জানা যায়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো মানুষ মুসলমানদের পবিত্র কুরআন এভাবে পূজামণ্ডপে নিয়ে যাবে, স্থাপন করাবে- সেটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেউ আছে এমনটি সাধারণভাবেও কেউ বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না। মনে না হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে ভিন্ন একটি অবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন মুসলমানদের সঙ্গে বসাবাস করে আসছেন, তাদের ধর্মানুভূতি সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত। এমন একটি ঘটনার খবর জানাজানি হলে দেশের মাত্র ৮ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কী হতে পারে সে সম্পর্কেও তারা কমবেশি অবগত। ধর্মান্ধতা বিষয়টি সব ধর্মেই রয়েছে। কিন্তু অন্য ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননার পরিণতি ভয়ানক অবস্থা সংঘটিত করতে পারে। এটিই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীও কমবেশি জানে। সুতরাং সংখ্যাগরিষ্ঠ (৯০ শতাংশ) মুসলমান সম্প্রদায়ের বাংলাদেশে কোনো হিন্দু পবিত্র কুরআনকে নিয়ে এমন খেলা খেলবে এটি ভাবনার মধ্যেও কোনো ধর্মান্ধ হিন্দুর আসার কথা নয়। পূজা কমিটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে; কিন্তু লক্ষ করা গেছে একদল দুষ্কৃতকারী রেলের পাথরভর্তি ব্যাগ নিয়ে সেখানে পূজারিদের ওপর হামলা করেছিল, মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুর করেছিল। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরআন অবমাননার লাইভ প্রচার করেছিল। তাতে সাধারণ মুসলমান হতচকিত হয়েছিল। কিন্তু সচেতন কুমিল্লাবাসী এই ঘটনার খবরে সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামেনি। কারণ তাদের কাছেও খবরটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কারণ কুমিল্লার বৃহত্তর জনসাধারণ প্রতিবেশী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপ দীর্ঘদিন থেকেই দেখে আসছে। একে অপরকে চিনেও আসছে। তাছাড়া বাংলাদেশে তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মের নামে অনেক মিথ্যাচার ও গুজব রটানোর ঘটনা গত কয়েক বছরে একটি মহল কর্তৃক ঘটানোর অভিজ্ঞতাও তাদের জানা আছে। সে কারণে কুমিল্লায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পরিকল্পনাকারীরা অন্যত্র তাদের মিশন বাস্তবায়নে পাড়ি জমায়। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুরে পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন দৃঢ়ভাবে তা দমন করতে পেরেছিল। তবে হামলায় মন্দিরসহ পূজারিদের আয়োজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এই ঘটনার পরও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলো কেন নিজ নিজ এলাকায় তৎপর হয়ে উঠল না, সতর্ক নজরদারি প্রতিষ্ঠা করল না, পূজামণ্ডপকে কেন্দ্র করে নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের সর্বত্র নজর রাখার দায়িত্ব দেয়া হলো না- সেটি আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হলো। তারা কেন এতটা আশ্বস্ত থাকল যে, তাদের এলাকায় তেমন কিছু হবে না। বিশেষ করে চৌমুহনী, বেগমগঞ্জ তথা বৃহত্তর নোয়াখালীতে ব্যাপক সংখ্যক ধনী বণিক হিন্দু গোষ্ঠী নানা ধরনের কাজে যুক্ত ও প্রতিষ্ঠিত আছে। এখানে বেশ কিছু পুরনো ঐতিহাসিক মন্দিরও রয়েছে। তাছাড়া গত এক-দেড় বছর ধরে নোয়াখালীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা একটি বড় ধরনের দলীয় বিভাজন, ভাঙাভাঙি ও দুর্বলতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন এই অঞ্চলে তার কারণে কতটা নিষ্ক্রিয় ও নিঃস্পৃহ হয়ে পড়েছে সেটি দলের হাইকমান্ড খবর রাখে না, ওবায়দুল কাদেরও এলাকায় যান না। তিনি বা দলের হাইকমান্ড কার কাছ থেকে কী শোনেন, কী বোঝেন, মাঠের বাস্তবতা কী- সেটি তারা আদৌ রাখেন না। সেটি তারা না বুঝলেও তাদের প্রতিপক্ষ রাজনীতির জটিল সমীকরণ ও অঙ্কের হিসাবে মির্জাদেরকে অনেক বেশি ছাড়িয়ে গেছে। সুতরাং নোয়াখালীর বৃহত্তর অঞ্চলকে আক্রমণের টার্গেটে পরিণত করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী, ষড়যন্ত্রকারী ও আক্রমণকারীরা বড় ধরনের প্রতিহতের মুখে পড়তে হবে না সেই অঙ্কের হিসাব তারা অনেক দিন থেকেই কষে থাকতে পারেন। তাছাড়া মির্জা সাহেব নোয়াখালী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধেও যেভাবে বিষোদ্গার করে এসেছেন, নিজেকে শুধু নোয়াখালীর হর্তাকর্তা নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চেয়েও বড় করে দেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ও অগোছালো অবস্থায় রয়েছে- এই ধারণাটিও প্রতিপক্ষের কাছে অনেক আগেই জমা হয়ে আছে। সুতরাং বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে পূজা উপলক্ষে মন্দির ও মণ্ডপে তাণ্ডব, ধ্বংসলীলা, মানুষ হত্যা, আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নির্বিচারে আক্রমণের শিকার হয়েছিল সেটি ছিল অকল্পনীয়। পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন, এমপি, মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, অন্যান্য দলের সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন কেউই শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও এই আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস দেখায়নি। তাহলে দুর্বলতাটি কোথায়, কেন ও কাদের- এটি নতুন করে বলার কী অপেক্ষা রাখে? পূজা তো শেষ হয়ে গেল শুক্রবারে। রংপুরের পীরগঞ্জে রবিবার প্রায় ২০টির মতো সংখ্যালঘুর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটল। এই হামলার ধারাবাহিকতা এখানে শেষ নয়। এর পরবর্তী শিকার কোথায় কারা হবেন তা কি আমাদের দেখতে হবে? মনে হয় এই দেখাই শেষ নয়। আরো অনেক কিছু দেখার দুর্ভাগ্য আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ দুই বছর পর একটি নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচনকে একটি পক্ষ সহজে নিচ্ছে না। বছরের শুরুতে মার্চ মাসের ২৬ থেকে ২৮ তারিখ তাণ্ডবের প্রথম মঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। দ্বিতীয় মঞ্চ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরে অনেকগুলো অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেল। এতে তাদের শক্তির আন্দাজটাও করা গেল। শুধু শক্তিই নয়, তাদের কর্মপরিকল্পনাও কতটা সূ² হতে পারে, কতটা দেশব্যাপী হতে পারে, কত ধরনের ইস্যু থাকতে পারে তারও একটি ধারণা পাওয়া গেল। এতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে এই শক্তিগুলো কোথায় নিয়ে যেতে চায় সেটি সম্পর্কেও ধারণা করার জন্য বড় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। সম্প্রতি আফগানিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন ঘটেছে। রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তিত হয়েছে। রাখা হয়েছে ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান। কিন্তু দুই মাসেই ইসলামিক আমিরাতের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্লেশে হয়ে গেছে। মানুষ না খেয়ে মরার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। যারাই সুযোগ পাচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য নিজ দেশ, সম্পদ, নিকটজন ছেড়ে পৃথিবীর অন্যত্র পাড়ি জমাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তালেবানি শাসন আর ইসলামি আমিরাত তাদের কাউকেই বেঁচে থাকার পরিবেশ দিতে পারছে না। মসজিদে আগের মতোই বোমা হামলা হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরো কত কী ঘটতে পারে সেটি আমরা হয়তো দূর থেকে শুনতে পারি। কিন্তু তালেবানদের হাতে পড়া নাগরিকদের মৃত্যু কিংবা বশ্যতা ছাড়া আর করার কিছু থাকবে না। আমাদের দেশে যারা রাষ্ট্রটাকে নিয়ে তালেবানদের মতো এমন হেলা-ফেলা-খেলা অতীত থেকে করে আসছে, এখন নতুন করে করতে চাচ্ছে তাতে সংখ্যালঘুরাই শুধু ধ্বংস হবে না, গুরুদের অস্তিত্বও বিপন্ন হতে বাধ্য। কারণ আধুনিক রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংস করতে চায় তারা মানব জীবন, অর্থনীতি, শিক্ষা, রাজনীতি, ধর্ম, সংস্কৃতিকে পায়ের নিচে ফেলতে একবিন্দু চিন্তা করে না। সুতরাং বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র কেবলই ষড়যন্ত্র নয়, এটি একটি পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রহীন বর্বরদের দুঃশাসন। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App