×

পুরনো খবর

ইবির শেখ রাসেল হল: রশিদ ছাড়া টাকা নেওয়ার অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২১, ০৪:০৩ পিএম

ইবির শেখ রাসেল হল: রশিদ ছাড়া টাকা নেওয়ার অভিযোগ

রশিদ ছাড়াই হাতে হাতে হল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভোরের কাগজ

নিয়ম ভঙ্গ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রশিদ ছাড়াই হাতে হাতে হল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ। তবে হল কর্তৃপক্ষ বলছেন প্রথা অনুযায়ী হাতে হাতে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২২ টি ছিট খালি সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা প্রদানের জন্য নোটিশ প্রদান করে হল কর্তৃপক্ষ। নোটিশে গত ০৩ অক্টোবর থেকে ০৯ অক্টোবরের মধ্যে ২০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে বলা হয়। ২২ টি ছিটের বিপরীতে আবেদন করে দুইশত দুইজন শিক্ষার্থী। তবে ওই টাকা হলের ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে হল কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে বলা হয়। ফলে ২০২ জন শিক্ষার্থীই হল কর্তৃপক্ষের হাতে টাকা জমা দেয়। গত সোমবার ফলাফলের ভিত্তিতে ২২ শিক্ষার্থীর এ্যালটমেন্ট (ছিট বরাদ্দ) দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের ভাইভা গ্রহণ ছাড়াই এ এ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে হলের এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও হল সংক্রান্ত যেকোন টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেই। তবে এক্ষেত্রে এমন করা হলো কেন? হল কর্তৃপক্ষ এমন ফি বাবদ উপার্জনের একটি মাধ্যম বানিয়েছে।

হলের শাখা কর্মকর্তা সুজল কুমার অধিকারী জানান, প্রভোস্ট স্যারের নির্দেশনায় আমরা হাতে হাতে টাকা জমা নিয়েছি। পরে সব টাকা হলের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। গত চার বছর ধরে এ নিয়মেই টাকা নেওয়া হচ্ছে।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, নতুন আবেদন ফরম বিক্রি হয় ২০০ টাকায় এবং এটি একটি রেজিস্ট্রার খাতায় সিরিয়াল আকারে লেখা হয়। পরে সব টাকা এক করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। হলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ প্রথা চালু রয়েছে। আমি প্রথা অনুযায়ী কাজ করেছি। শিক্ষার্থীরা ডকুমেন্ট চাইলে হল থেকে নিতে পারবে।

ভাইভার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ভাইভা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের মেরিট, খেলোয়াড়, দারিদ্রতাসহ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ছিট বরাদ্দ দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে হাতে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিতে হয়। এভাবে কেউ করে থাকলে আর্থিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। শেখ রাসেল হলের ঘটনাটি আমার জানা নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App