সামি-তাসনিমসহ চারজনের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৪৫ পিএম
আল জাজিরা টেলিভিশনে বহুল আলোচিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স ম্যান’ প্রতিবদেনের প্রধান চরিত্র সামিউল ইসলাম ওরফে জুলকারনাইন ওরফে সামি এবং নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আল জাজিরা টেলিভিশনে বহুল আলোচিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স ম্যান’ প্রতিবদেনের প্রধান চরিত্র সামিউল ইসলাম ওরফে জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিলসহ চারজনের সম্পদ বাজেয়াপ্তের (ক্রোক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি দুজন হলে- আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর এই চার আসামিরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত বাকি তিন আসামি হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান।
অপরদিকে চার্জশিট গ্রহণের দিন মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার এ চার আসামিকে মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ না মেলায় অব্যাহতি দেন আদালত।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ১৩ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক আফসার আহম্মদ।
মামলাটির এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে একটি ফেসবুক পেজে আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, মুশতাক আহমেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ছাড়া আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, সাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।