সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। রবিবার (১৭ অক্টোবর) দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এই কমিটি গঠিত হয়।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষে বিভাজনের রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির কারণেই এই রক্তপাত, লুঠতারাজ চলছে।

তিনি বলেন, সনাতন ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় এবং সকল ধর্মে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করা হয়। অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়। কোনও তদন্ত ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে বাড়ি-ঘরে পুলিশি তল্লাসী ও অভিযানের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে এই ধরনের অপকর্ম করা হচ্ছে বলে মনে করা হয়। এ ধরনের হীন অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার জন্য সকল নাগরিককে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনা গুলোর তদন্ত করার জন্য সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যরিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুটি অতিদ্রুত  এলাকা গুলো সফর করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।