বেগমগঞ্জে সহিংসতার ১৮ মামলায় আসামি ৫ হাজার, গ্রেপ্তার ৯০
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০২:১১ পিএম
কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ভাঙচুর করা একটি মন্দিরের দৃশ্য। ফাইল ছবি
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ১৮টি মামলা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজাহার নামীয় আসামি রয়েছে মোট ২৮৫ জন। অজ্ঞাত পরিচয় আসামি রয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এ মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯০ জনকে। দায়ের করা মামলার মধ্যে ১০টি মামলার বাদী পুলিশ। বাকি ৬টি মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্থ মন্ডপের পূজা কমিটির সদস্য, ১টি পূজার ঘরের মালিক, ১ জন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ।
নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার প্রতিবাদে জুমার নামাজের পর দুবৃর্ত্তরা চৌমুহনী শহরের কাছারি বাড়ির মসজিদ এলাকার মূল সড়কে জড়ো হয়ে মিছিল বের করে।
একপর্যায়ে মিছিল থেকে শহরের প্রধান সড়কের উত্তর পাশের শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানের সাইনবোর্ড দেখে দেখে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। মিছিলকারীরা শহরের কলেজ রোডে ঢুকে আশপাশের অনেক দোকানে এবং রামঠাকুর আশ্রম, রাধা মাধব জিওর মন্দির, ইসকন মন্দিরসহ ১২টি মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর চালান। এ সময় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
এ ছাড়া বাড়িঘর লক্ষ্য করে প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা মন্দিরের সামনে ও আশপাশে থাকা হিন্দুদের পিটিয়ে আহত করেন। বেলা দুইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত হামলা-ভাঙচুরের তাণ্ডব চললেও তাৎক্ষণিক ওই সময় প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি। ওই ঘটনায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটে।