×

পুরনো খবর

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলের মামলায় শাহজাহানের জামিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৩৯ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি চুরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বদলে দেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে এ জামিন পান।

এরআগে এদিন তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। অন্যদিকে দুদকের পক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিস্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল এর সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আব্দুস সালাম আজাদ। আসামিদের মধ্যে তরিকুলসহ চারজন অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে আব্দুস সামাদ আজাদ পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

সেই সংক্ষেপের নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে গোপনীয় তথ্য ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

একই বছরের ১ মার্চ নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪ নং গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। এই কাজের জন্য ফাতেমাকে আসামিরা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেন বলে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে আরও বলানহয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ড. এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি টেম্পারিং করে সেখানে ক্রচ চিহ্ন দেয়। একইভাবে অধ্যাপক আব্দুর রউফের নামের পাশেও ক্রচ চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আব্দুস সামাদ আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেয়।

এরপর ৩ মার্চ আসামিরা নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। তবে এক পর্যায়ে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। জালিয়াতির ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদি হয়ে গত ৫ মে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করে। অভিযোগ দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় পরবর্তীতে কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ৮ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App