ত্রিশালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৭ ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক চালক আনসার আলীকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। নরসিংদির মনোহরদী থানার গোতাশিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর মালিবাগ সিআইডির কার্যালয়ে সোমবার (১৯ অক্টোবর) চালক গ্রেপ্তারের ঘটনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর।

তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী এক বাসের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘঠিত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০-১২ জনকে বিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজন মারা যায়। পরে ১৭ অক্টোবর মর্মান্তিক এ ঘটনায় বাস ও ডাম্প ট্রাকের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হলে ছায়া তদন্ত শুরু করি আমরা।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে নরসিংদির মনোহরদী থানার গোতাশিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসটির চালক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ১৬ অক্টোবর ঢাকা মহাখালী টার্মিনাল থেকে ৪২ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। একই তারিখ ও সময়ে একই স্থান থেকে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রায় সমস্ত রাস্তাই তারা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালাতে থাকে।

এমন করেই ত্রিশাল থানাধীন চেলেরঘাট এলাকায় পৌঁছালে সৌখিন পরিবহন ও স্যাপার নাম. এ রহিম নামীয় বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতার এক পর্যায়ে রাস্তায় পার্কিংরত বিকল ড্রাম্প ট্রাকটিতে সজোরে থাকা দিলে মুহুতেই বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঝরে যায় ৭টি তাজা প্রাণ। ৫ জন মৃত্যুবরণ করে। আহত ১২ জনকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ২ জন মৃত্যুবরণ করে। ঘটনায় মোট ৭ জন মারা যায়। ঘাতক চালক আনসার আলী দ্রুত পালিয়ে যায়।