যারা মন্দিরে হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীতে নিজের বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনা বিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে তাদের আর ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা তথ্য গোপন করে কেন্দ্রে বিতর্কিতদের নাম পাঠাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।

নির্বাচনে অভিযোগের পাহাড় বা স্তুপ জমা হয়ে আছে অথবা দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মোটেই সত্য নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায় ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত ১২ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজায় কোন ধরনের সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি কিন্তু এবার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই অপকর্ম করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

সরকার এসব তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িত- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান, সরকার দেশে স্থিতিশীলতা চায়, সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে!

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীল তৈরির যে অপচেষ্টা হয়েছে বা হচ্ছে এবং এর পেছনে যারা মদদ দিচ্ছে, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী ও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুর হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান,আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সানজিদা খানম,আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম ও ইকবাল হোসেন এবং রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ স্থানীয় নেতারা।