×

জাতীয়

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে কুবিতে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মারামারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৮ এএম

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে কুবিতে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মারামারি

বৃহস্পতিবার রাত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'গ্রুপের মারামারির বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসেন শিক্ষার্থীরা।

সিনিয়রের নাম ধরে ডাকাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু'গ্রুপের অন্তত ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বাঁধন নিজের রুমে অর্থনীতি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ সোহাগের নাম ধরে ডাকেন। ওই রুমের বাসিন্দা সোহাগের বন্ধু ওয়াকিল বিষয়টি শুনলে ১২তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাফী, সোহাগ ও ওয়াকিল ২০০৩ নং রুমে বাঁধনকে ডেকে শাসান। এক পর্যায়ে বাঁধনকে তারা চড় মারেন বলে জানা যায়।

এ ঘটনার পর বাঁধন ১৩ তম ব্যাচের তার বন্ধুদের বিষয়টি জানালে ওই ব্যাচের সবাই একত্রিত হয়ে রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে ২০০৩ নং রুম থেকে শাফীকে ডেকে নিয়ে যান ১৩ তম ব্যাচের সাদমান। এ সময় হানিফ, সাদমান, মিরাজ, রবিনসহ ৮ থেকে ১০ জন শাফীকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ৩০৩ নং রুমে একদফা মারধর করেন। এরপর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের রুমে (৩০৩) ডেকে নিয়ে বিচারের নামে আধাঘন্টা ধরে ফের তাদেরকে মারধর করেন শাখা ও হল ছাত্রলীগের নেতারা। এ সময় ১৩তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে ১৩ তম ব্যাচের কর্মী হানিফ ভূইয়া বলেন, আমাদের বন্ধুকে মারধরের বিষয়ে জানতে তাদের রুমে যাই৷ তবে সেখানে আমরা কাউকে আঘাত করি নি।

তবে ১২ তম ব্যাচের কর্মী শাফি হাসান বলেন, আমি হলের সিনিয়র হিসেবে জুনিয়রদের আচরণের বিষয়ে তাদের বুঝিয়ে বলি। কিন্তু তারা এসে আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত বলেন, হলের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উচ্চাবাক্য বিনিময় হয়। আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। র‍্যাগিং কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‍্যাগিং এর মতো তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আজকের ঘটনায় জড়িত সকলে হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। পরবর্তীতে সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিব।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আবাসিক হলের বিষয়গুলো প্রভোস্ট দেখভাল করেন। হল প্রভোস্ট সহ হলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App