×

আন্তর্জাতিক

সম্পত্তির লোভে ২০ বছরে পরিবারের পাঁচজনকে খুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৪৫ পিএম

সম্পত্তির লোভে ২০ বছরে পরিবারের পাঁচজনকে খুন

২০ বছরে নিজের পরিবারের পাঁচ জনের খুনী লীলু ত্যাগী

দীর্ঘ দুই দশকে নিজের পরিবারের পাঁচজনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ নামক অঞ্চলের ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন লীলু ত্যাগী ওই ব্যক্তি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইতোমধ্যে সে নিজে এবং সুপার কিলারদের মাধ্যমে তার ভাই, দুই সৎ মেয়ে ও তার ভাতিজাদের খুন করেছে।

গাজিয়াবাদ (রুরাল) পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা বলেন, লীলু যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সেটি এতদিন লীলুর পরিবার বুঝতে পারেনি। মূলত সম্পত্তির লোভেই সে একের পর এক পরিবারের সদস্যকে খুন করত। তার ছেলে বিভোর যাতে গোটা সম্পত্তিটাই পায় সেই কারণে যাবতীয় উত্তরাধিকারদের একে একে সরিয়ে ফেলার ছক কষেছিল সে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লীলু তার ভাই সুধীরকে প্রথম টার্গেট করেছিল। ২০০০ সালে আকস্মিকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় সুধীর। এরপর সুধীরের বউ অনিতাকে বিয়ে করে লীলু।

সুধীরের দুই মেয়েকেও সে নিজের কাছে রাখত। পুলিশি জেরায় লীলু স্বীকার করেছে, দেশি পিস্তল দিয়ে সুধীরকে সে খুন করেছিল। এরপর সুধীরের সম্পত্তির পাশাপাশি তার বউকেও সে পেয়ে যায়। কিন্তু সম্পত্তির উত্তরাধিকার তো সুধীরের দুই মেয়ে। ২০০৩ সালে সুধীরের বড় মেয়ে পায়েলকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে লীলু। সেই সময় লীলু জানিয়েছিল পোকার কামড়ে মারা গিয়েছে পায়েল।

এরপর পায়েলের দিদি পারুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে লীলু। এলাকায় রটিয়ে দেয় অন্য কারোর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে পারুল। স্থানীয় খালে সে পারুলের দেহ ফেলে দেয়। এরপর ত্যাগীর ১৪ বছরের সন্তান নীশুকেও ভাড়াটে খুনী দিয়ে খুন করে খালে ফেলে দেয় লীলু। তখন অবশ্য থানায় এফআইআর করেছিলেন ত্যাগী। এরপর ত্যাগীর বড় ছেলে রীশুকেও খুন করে লীলু। তবে এরপর থেকে লীলুর উপর সন্দেহ হতে থাকে পরিবারের সদস্যদের। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে লীলুকে। গ্রেপ্তার করার সময় লীলু শুধু একটি কথাই বলেছিল, আমি খুব দুঃখিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App