শ্লীলতাহানীর অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর)। তাই এদিন দ্বিতীয় বারের মতো জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

তবে তার জামিনের আবেদনটি নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় এক ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরেরদিন ১২ সেপ্টেম্বর মামলাটির এজাহার আদালতে আসলে তা তদন্ত করে আগামী ১৪ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।

এছাড়া ১৩ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালতের ধার্য দিন (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানি নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস সেই দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী চিত্তরঞ্জন দাসকে ফোন করেন। তখন চিত্তরঞ্জন তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।

রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান। সেখানে চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।