×

সারাদেশ

কুমিল্লার দুর্গা পূজামণ্ডপে হামলা, অভিযানে আটক ৪৩

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০২:৩৮ পিএম

কুমিল্লার দুর্গা পূজামণ্ডপে হামলা, অভিযানে আটক ৪৩

বৃহস্পতিবার ধর্মীয় সহিংসতায় কুমিল্লায় সংঘর্ষের ঘটনায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের পর্যবেক্ষক দল। ছবি: ভোরের কাগজ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে হামলার শিকার হওয়া কুমিল্লায় নানুয়ার দীঘির পাড়ের দুর্গাপূজার মণ্ডপ  পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের পর্যবেক্ষক দল। এর আগে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ফয়েজ নামে এক ব্যক্তি রয়েছে। সে ভিডিও ফুটেজ ছড়ানোর ঘটনায় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ভোররাত পর্যন্ত তাঁদের আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পর্যবেক্ষক টিমের নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ। এ সময় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা খানমসহ কুমিল্লা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ বলেন, বাংলাদেশের সব ধর্মের লোকজনই স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। হঠাৎই একটি দেশদ্রোহী চক্র দেশ বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করছে। পরে পর্যবেক্ষক দলটি কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এদিকে ঘটনাস্থল পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে এসে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি অবশ্যই উস্কানিমূলক। এ ঘটনায় কুমিল্লাতে মোট ৪৩জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো এ ব্যপারে মামলা হয়নি। ফয়েজ নামে একজন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য কুমিল্লায় অপতৎপরতা চালিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ ছড়ানোর ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাই ঘটনা না জেনে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কোন পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। সতর্ক হোন! তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, যে বা যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করা হবে।

নানুয়ার দিঘির ঘটনায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে আর্মড পুলিশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, পূজামণ্ডপে কে বা কারা পবিত্র কোরআন রেখে এসেছেন, সেটি খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।  তবে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ঘটনার তদন্ত চলছে।

গতকাল বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে একটি পূজা মণ্ডপে প্রতিমার কাছে কোরআন শরীফ পাওয়া যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে বিভিন্ন জায়গায় পূজা মণ্ডপ ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App