×

জাতীয়

পূর্ব ইউরোপের শ্রমবাজারে মিলছে নতুন আশার আলো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৬:২১ পিএম

পূর্ব ইউরোপের শ্রমবাজারে মিলছে নতুন আশার আলো

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম

বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে বিশ্ব শ্রমবাজারে। সময় পরিক্রমায় নতুন নতুন দেশে এর সম্ভবনা সৃষ্টি হচ্ছে। সিশেল, পোল্যান্ড, সার্ভিয়া, রোমানিয়া, আলভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় স্বউদ্যোগে ভিসা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই লোক যাচ্ছে। এটা আমাদের নতুন শ্রমবাজার। তবে বিদেশের দূতাবাসগুলোতে জনবল ও অবকাঠামো সংকট থাকায় শ্রমবাজার বাড়াতে হলে এসব সুযোগও বাড়াতে হবে। শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে তৈরি করতে হবে দক্ষ জনশক্তি।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম তার দপ্তরে ভোরের কাগজকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এসব দেশের সঙ্গে কোনো রাষ্ট্রীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। আত্নীয় স্বজনদের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করে যারা যাচ্ছেন তাদের জন্য বিএমইটি অন স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। আগে অনেক দেশের ভিসা পেলেও রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে বিএমইটিতে আসতে হতো। এক্ষেত্রে সময় ও টাকা ব্যয় হতো। এখন তা হচ্ছে না। ভিসা পেলে সহজেই যাওয়া যাচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে।

এসব দেশে শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেমন আলোচনা শুরু হয়নি, তেমনিভাবে নেই কোনো দূতাবাসও। রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ ও মতবিনিময় ছাড়া কোনো শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয় না। তবে দেখা দিয়েছে সম্ভবনা ও আশার আলো।

তিনি বলেন, এসব দেশের ভিসা নিয়ে যারা বিএমইটিতে আসছেন তাদের ভিসা যাচাই করতে সময় লাগছে। এসব দেশের ভিসার সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিতি হওয়ায় আসল-নকল যাচাই করতে একটু সময় লাগছে।

সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিদেশে শ্রমবাজার বাড়ালে হলে দূতাবাসগুলোতে জনবল বাড়াতে হবে। সব শ্রেণির মানুষের সমন্বয়ে নতুন বাজারে প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় করতে হবে। পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশে নতুন করে জনবল যাচ্ছে সেসব দেশের দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। তাহলে সম্ভবনার যে আলো দেখা দিয়েছে তা উন্মুক্ত হতে পারে।

দূতাবাসগুলোতে যে পরিমাণ জনবল ও অবকাঠামো রয়েছে তা অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশিরা শুধু কাজের জন্য বিদেশে যেতেন। এখন সেই অবস্থা নেই, এখন আমরা মর্যাদা ও নৈতিকতা চাই।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার প্রসঙ্গে কবি শহীদুল আলম বলেন, কয়েক মাস আগে একবার এর সম্ভবনা দেখা দিয়েছিল। বৈশি্বক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে তা ঝুলে গেছে।

আগামী ডিসেম্বরের আগে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি চালুর সম্ভবনা দেখছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সচিব এ নিয়ে কাজ করছেন। দু’দেশের সচিব পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।

করোনার কারণে সবকিছু উলট পালট হয়ে গেছে জানিয়ে শহীদুল আলম বলেন, পুরনো বাজারে আরো যতো বেশী দক্ষ জনবল পাঠানো যায় সেজন্য কাজ চলছে। লকডাউন থাকলেও নিজেদের প্রয়োজনে সিংগাপুর লোক নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি বাড়াতে সব রকম চেষ্টা করছে।

জনশক্তি পাঠাতে বিদেশের চাহিদা পূরণে বিমান বন্দরে ল্যাব স্থাপনসহ সবকিছু করা হচ্ছে। বিদেশগামীদের দুর্ভোগ ঠেকাতে বিএমইটি চালু করতে যাচ্ছে নাগরিক ঘণ্টা। প্রশিক্ষতদের ফের বিদেশ যাওযায় সৃষ্ট জটিলতাও দূর করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App