×

জাতীয়

রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলার রায় পেছাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪০ এএম

রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলার রায় পেছাল

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে থাকায় এ রায় ঘোষণা হচ্ছে না। আদালতের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রায় ঘোষণা না হওয়ার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বলেন, এই মামলার রায় অনেক বড়। সেই কারণে রায় এখনও প্রস্তুত হয়নি। রায়ের তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু তিনি ছুটিতে আছেন। এ কারণে পূর্বনির্ধারিত সময়ে মামলার রায় হচ্ছে না।

আদালতের ওই কর্মকর্তা যোগ করেন, মামলার রায় এখনও প্রস্তুত হয়নি। তাই আজ রায় হবে না। রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

গত ৩ অক্টোবর মামলার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর আদালত ১২ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেন।

সাফাত ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

২২ আগস্ট একই আদালতে আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

২০১৭ সালের ৬ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। এর একমাস পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমে ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়। পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুইজনকে আমন্ত্রণ জানালে তারা যেতে সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তাদের বলা হয়েছিল, অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে বড় একটি অনুষ্ঠান হবে।

ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের দুইজনকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা অন্য কোনও লোকজন দেখতে পাননি। কোনও আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলে আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে তাকে মারধর করে। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধরও করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App