হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের বিমান বন্দরগুলোকে উন্নত করার জন্য সরকার গৃহীত মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের চাহিদা পূরণ এবং আরো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে বৈশ্বিক পণ্যদ্রব্য বানিজ্যের পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে বানিজ্যের গতি আসন্ন দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে। অনেক দেশ কোভিড পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করছে। ফলে, ব্যবসায়িক ভ্রমণ এবং আকাশপথে পণ্য পরিবহন বাড়ছে। এমন প্রেক্ষিতে নতুন টার্মিনাল নির্মান এবং রানওয়ে সম্প্রসারণসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিমানবন্দরসহ প্রধান প্রধান বিমান বন্দরগুলো উন্নত করার লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান এ সভাপতি।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধিদল রবিবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান।

সভায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান; বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মাফিদুর রহমান; এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ নেতারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রসারিত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি এবং বিনিয়োগও বাড়ছে। তাই, আধুনিক সুবিধাসহ নতুন টার্মিনাল চালু হলে দেশের বানিজ্য দ্রুততর হবে এবং বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তারা আশা করেন, যেহেতু নতুন টার্মিনাল কার্গো ও যাত্রী উভয় ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতা বাড়াবে। তাই এটি যাত্রী ও ব্যবসায়ী উভয়ের কাছেই আশির্বাদ হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স’কে দুবাই এবং লন্ডনে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো এবং দীর্ঘ রুট- টরেন্টো, নিউ ইয়র্ক, ম্যানচেষ্টার, ফ্রাঙ্কফুর্ট, আমস্টারডাম, প্যারিস, রোম ও বার্সেলোনায় ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানান। ব্যবসায়ী নেতারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোর্ডের মাধ্যমে সরকারকে আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনের বর্ধিত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চারটি কার্গো ফ্রেইটার (কার্গো এয়ারক্রাফট) সংগ্রহ করার জন্যও অনুরোধ জানান।