×

আন্তর্জাতিক

নির্বাচনে পরাজয়ের পর হাসপাতালে চেক প্রেসিডেন্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৮ এএম

নির্বাচনে পরাজয়ের পর হাসপাতালে চেক প্রেসিডেন্ট

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান

পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদের অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ের পর রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির

৭৭ বছর বয়সী জেমান একজন অবিরাম ধূমপায়ী যিনি আগে মদেও আসক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং হুইলচেয়ার নিয়ে চলাফেরা করেন।

শনিবারের নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনায় নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু প্রাগের কেন্দ্রীয় সামরিক হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, জেমান ইন্টেনসিভ কেয়ারে আছেন।

মিরোস্লাভ জাভোরাল বলেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়েছে, এতে চিকিৎসা কী হবে তা নির্ধারণ করতে পেরেছি আমরা।

কিন্তু প্রেসিডেন্টের অনুরোধের কারণে তিনি আর বিস্তারিত বিবরণ দেবেন না বলে জানান।

এর আগে প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মাসে আট দিন হাসপাতালে থাকার পর থেকে জেমান ক্লান্তি ও পানিশূন্যতায় ভুগছেন।

রোববার স্থানীয় সময় সকালে রাজধানী প্রাগের কাছে প্রেসিডেন্সিয়াল অট্টালিকা থেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তার রাজনৈতিক মিত্র প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বাবিসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।

চেক প্রজাতন্ত্রের সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হওয়া ফুটেজে হাসপাতালে প্রবেশের সময় কর্মীদের তার মাথা ধরে রাখতে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বাবিস ও তার এএনও পার্টি চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর আগাম নির্বাচনের ডাক দেয়। কিন্তু শনিবার অনুষ্ঠিত ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে মধ্য ডানপন্থী জোট স্পোলুর কাছে হেরে যায়। নির্বাচনে স্পোলু ২৭ দশমিক আট শতাংশ এবং এএনও ২৭ দশমিক এক শতাংশ ভোট পায়।

সরকার গঠন করার জন্য তারা উদারনৈতিক পাইরেটস/মেয়রস জোটের সঙ্গে আলোচনা করছে বলে ঘোষণা করে স্পোলু। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২০০ আসনের মধ্যে এই দুই জোটের নিয়ন্ত্রণে আছে ১০৮টি।

তবে নির্বাচনের আগেই প্রেসিডেন্ট জেমান জানিয়েছিলেন, তিনি সরকার গঠন করার জন্য জয়ী হিসেবে কোনো জোটকে নয়, বৃহত্তম একক দলকে বেছে নেবেন।

যেহেতু এএনও একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে, সেই হিসেবে প্রেসিডেন্ট জেমানের মিত্র বাবিসেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা।

নির্বাচনের আগেই ধনকুবের প্রধানমন্ত্রী বাবিসের দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট জেমান। কিন্তু অসুস্থতার জন্য কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি তিনি। ভোটে তিনি যেন অংশ নিতে পারেন তার জন্য তার কাছেই একটি ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কর্তৃত্ব পাবে।

বিভেদ সৃষ্টি করা মন্তব্য ও কঠোর ভাষা ব্যবহার করার জন্য জেমান প্রায়ই বিতর্কিত হয়েছেন। জুনে ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App