×

মুক্তচিন্তা

জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে কেন?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০১:৩১ এএম

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা প্রচার করা হচ্ছে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর কথা বলে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না ইত্যাদি বলে দলের হতাশ নেতাকর্মীদের উদ্দীপ্ত করার কম চেষ্টা করা হচ্ছে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিন কয়েক আগে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি সিট পাবে না। রাজনৈতিক জ্যোতিষীর মতো এসব ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কৌতুক করা ছাড়া কোনো সিরিয়াস আলোচনা চলে না। শুধু এটুকুই বলা যায় যে, এতই যদি নিজেদের জনপ্রিয় মনে করেন, তাহলে মানুষকে কেন রাস্তায় নামাতে পারেন না? মুখস্থ কথার মতো আউড়ে যান, সরকার রাস্তায় নামতে দেয় না। হামলা-মামলায় ব্যতিব্যস্ত রাখে। পুলিশ দিয়ে ঠেঙানো হয়। নিরস্ত্র মানুষ কী করবে? বিএনপির এসব কথা শুনে মনে হয়, শাসকরা বুঝি বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্বাগত জানানোর জন্য ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে! অন্য সব সময়ের কথা বাদ দিয়ে যদি খালেদা জিয়ার শাসন আমলের দিকে ফিরে তাকানো যায়, তাহলে কি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য রাজপথে ফুল বিছিয়ে রাখা হয়েছিল? মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সোহেল তাজকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেনি তখন পুলিশ? বিএনপি নিয়ে কিছু লিখতে বসে পত্রিকায় নজর পড়ল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের প্রতি। সংবাদপত্র থেকে উদ্ধৃত করছি : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ বিএনপির সময়ে কী পেয়েছে আর আওয়ামী লীগের সময়ে কী পেয়েছে, সেটার তুলনা করতে হবে। জনগণ কাকে ভোট দেবে, আওয়ামী লীগের বাইরে আর কে আছে? তিনি বলেন, কারা, কেন, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে, কোন আশায় বিএনপিকে ভোট দেবে? জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও সফর নিয়ে ৪ অক্টোবর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি জানে, নির্বাচনে জিততে পারবে না। একটা দল কীভাবে জিতবে? তাদের নেতৃত্ব কোথায়? একজন (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দেশান্তরি। বিএনপি তাদের নেতৃত্বে রেখেছে। জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে? তারা তো ইলেকশনও করতে পারবে না। এর ফল হচ্ছে, তারা যে নির্বাচনে জিতবে বা যেতে পারে, এই বিশ্বাস তাদের নেই। তারা জানে, তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ তাদের (বিএনপিকে) ভোট দেবে কেন? জনগণ ভোট দিতে পারছে না, এই প্রশ্ন যারা করে, আওয়ামী লীগের বাইরে আর কে আছে? কাকে ভোট দেবে? কার কাছ থেকে মানুষ কী পেয়েছে? ১৯৭৫-১৯৯৬, ২০০১-২০০৮ পর্যন্ত মানুষ কী পেয়েছে? সে তুলনা করে বিবেচনা করেন। ক্ষমতা আমার কাছে ভোগের বস্তু না। শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না। ক্ষমতায় গেলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে।’ করোনার মধ্যেও ভোটাররা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। নির্বাচন যেন ঠিকভাবে না হয়, মানুষ যেন অংশ না নেয়, সে জন্য অগ্নিসন্ত্রাস থেকে হেন কোনো কাজ নেই, যা করা হয়নি। তারপরেও নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের পরে স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই আজ যত উন্নয়ন, তা করা সম্ভব হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে, তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এই দলের জন্ম কীভাবে? এই দল কি নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে হয়েছে? বা এমন কোনো নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যারা জনগণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে সংগ্রাম করেছে? তা তো না। সুবিধাবাদী ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি করা সংগঠন। বিএনপির শাসনামলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলো। তাদের জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, সারাদেশে গ্রেনেড হামলায় মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কেউ বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচার থেকে। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভোট দিল। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত জনগণ অন্তত এটুকু পেয়েছিল, সরকার মানেই জনগণের সেবক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার এসেছিল বলেই এত টেলিভিশন। হাতে হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়েও ব্যঙ্গ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও তো হয়েছে। এবার একটু অন্যদিকে চোখ ফেরানো যাক। বিএনপি-দরদি বলে পরিচিত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মাস কয়েক আগে এক অনুষ্ঠানে বিদ্রƒপের স্বরে বলেছিলেন, আজকে বিএনপি করোনাগ্রস্ত। বিএনপি এতটা করোনাগ্রস্ত যে তারা রাস্তায় নামতে পারে না। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। বিএনপি এখন এত দুর্বল হয়েছে যে তাদের সীমানা এসে গেছে প্রেস ক্লাবের সামনে ৫০ জনের একটা মানববন্ধন। বিএনপি সক্রিয় না হলে সামনে দলটির আরো দুর্দিন আসছে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী অতিদ্রুত দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, খালেদা জিয়াকে দেশবাসী এখনো ভালোবাসে। বাইরে থাকা অবস্থায় (খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার সরকারের কাছে আবেদন করে খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন। তিন দফায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাই তিনি জেলের বাইরে আছেন। গত বছরের মার্চ মাস থেকে গুলশানের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে জামিনের শর্ত অনুযায়ী সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন) উনার দরকার হবে দ্রুত দলের কাউন্সিল মিটিং করা। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই পরামর্শ খালেদা জিয়া যে আমলে নেননি সেটা দেখাই যাচ্ছে। কাউন্সিল করার মতো বাস্তব অবস্থাও বিএনপির আছে বলে মনে হয় না। কাউন্সিল করে দলের নেতৃত্ব জিয়া পরিবারের বাইরে কাউকে দেয়ার সাহসও হয়তো নেই। কাউন্সিল করে আবারো যদি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে মাথায় রেখে জোড়াতালির একটি কমিটি করা হয় তাহলেও বা কি লাভ? বিএনপিতে নতুন প্রাণপ্রবাহ তৈরি কীভাবে সম্ভব সেটা পরিষ্কার নয় কারো কাছেই। দেশে একটি কার্যকর বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তা অনেকেই অনুভব করেন। মানুষের পক্ষে কথা বলার মতো একটি সৎ ও সাহসী রাজনৈতিক দলের অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। বিএনপি সরকারের তোপের মুখে দাঁড়ানোর অবস্থায় নেই। তারা অনেকটাই অনুগত অবস্থায় আছে। সবচেয়ে বড় কথা, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কেউ নন। দলের কোনো কমিটিতে তিনি নেই। তার অবস্থান অনেকটা গায়ে মানে না আপনি মোড়লের মতো। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিএনপি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেজন্য কেউ কেউ তাকে খালেদা জিয়ার ‘অবৈতনিক পরামর্শক’ বলেও মনে করেন। নানা কারণে দেশের ভেতরে এবং বাইরে জাফরুল্লাহর অনেক ভক্ত আছে। তারপরও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তিনি কিছুটা ‘ব্রাত্যজন’। বিএনপি সমর্থক বলে পরিচিত হলেও কেউ কেউ তাকে কিছুটা স্বাধীনচিন্তার মানুষ বলেও মনে করেন। কিন্তু কোনো সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে না থাকায় তার বলা কথাগুলো দ্রুত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, কোনো পরিণতি পায় না। বয়সের কারণে তিনি হয়তো কথা এবং কাজের ধারাবাহিকতাও রক্ষা করতে পারেন না। বিএনপি সম্পর্কে কখনো কখনো বিস্ফোরক মন্তব্য করলেও সেটা ভালোবাসা থেকেই করেন বলে ধরে নেয়া হয়। খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্রয় পান বলে তিনি দলের অন্য নেতাদের খুব হিসাবে ধরেন বলে মনে হয় না। বিএনপি সক্রিয় না হলে সামনে দলটির আরো দুর্দিন আসছে বলে ডা. জাফরুল্লাহ যে মন্তব্য করেছেন সেটা যদি আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল কেউ করতেন তাহলে বিএনপির অনেকেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতেন। কারণ বিএনপি সমর্থকরা সামনে সুদিন ছাড়া কোনো দুর্দিন দেখেন না। বিএনপির একটা জনপ্রিয় সেøাগান হলো : সামনে আছে শুভ দিন, ধানের শীষে ভোট দিন। কারণ যাই হোক, বাস্তবতা হলো, বিএনপি আর ভোটের বাক্স ভর্তি করতে পারছে না। তাই তাদের সুদিনও কেবল দূরেই সরে যাচ্ছে। বিএনপির কাছে যারা আন্দোলন আশা করেন, তারা আসলে বিএনপিকে বুঝতে ভুল করেন। বিএনপি আন্দোলনের দল নয়। বিএনপি হলো ক্ষমতার দল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থেকে এই দলের জন্ম দিয়েছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে যারা উচ্চকণ্ঠ তারা ভুলে যান যে বিএনপির একক আন্দোলনে কোনো সাফল্য নেই। বিএনপি আন্দোলন করে কোনো সরকারের কাছে কিছু আদায় করতে সক্ষম হয়েছে তার কোনো রেকর্ড নেই। বিএনপির যা অর্জন তা আসলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থেকে, এককভাবে নয়। তবু কেন যে বিএনপিকে আন্দোলনের দল মনে করে তার কাছ থেকে আন্দোলন আশা করা হয়- এই মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটির উত্তর কারো কাছে পাওয়া যায় না। বিএনপির প্রচুর সমর্থক আছে। কিন্তু এই সমর্থকরা দলের জন্য জানবাজি রেখে আন্দোলন করার মতো নন। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা হয়তো এটা বুঝেই জামায়াতের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলন করতে গিয়ে সফল না হয়ে দলের শক্তিক্ষয় করে এখন নির্জীব হয়ে ঘরে বসে আছেন। খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা কিংবা তার জন্য মানুষের ভালোবাসা নিয়ে একটা ভুল ধারণাও অনেকের মধ্যে ক্রিয়াশীল আছে। খালেদা জিয়ার প্রতি এক ধরনের মুগ্ধতা অনেকের ছিল। এখন আর তা অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। তার মুক্তির দাবিতে দেশে প্রবল আন্দোলন গড়ে না ওঠা থেকেই সেটা বোঝা যায়। বিএনপির বেহাল দশা কী কী কারণে হলো তার কারণ খোঁজা দরকার ছিল দলটির। কিন্তু তা না করে দলের নেতৃত্ব কেবল আকাশ কুসুম করেছেন চয়ন। একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয়তার জন্য যেসব উপাদান-উপকরণ দরকার, বিএনপিতে এখন সেগুলোর ঘাটতি আছে। বিএনপিতে এখন আর খালেদা জিয়ার একক নেতৃত্ব কার্যকর নেই। তিনি নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন। বড় ছেলে তারেক রহমানকে দলের নেতৃত্বে অস্বাভাবিকভাবে টেনে তুলে খালেদা জিয়া খুব দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে হয় না। কৃত্রিম কোনো কিছুই টেকসই হয় না। নেতৃত্ব ওপর থেকে চাপিয়ে দিলে তার ফল ভালো না হওয়ার দৃষ্টান্ত বিরল নয়। এখন খালেদা জিয়া এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তারেক রহমানের প্যারালাল নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে। এক ঘর মে দো পীর। খালেদার ভক্তকুল এবং তারেকের ভক্তকুলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। তাছাড়া দলে নবীন-প্রবীণের বিভাজনও বিরাট। তারেকের সব সিদ্ধান্তের সঙ্গে খালেদা জিয়া একমত হতে পারেন না, আবার খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তারেকের মতভিন্নতার কথাও শোনা যায়। সব মিলিয়ে বিএনপির অবস্থা এখন ‘ঠেলাঠেলির ঘর, খোদায় রক্ষা কর’। নির্বাচন যত কাছে আসবে, আন্দোলনের জন্য বিএনপির ছটফটানি ততই বাড়তে থাকবে। কিন্তু খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান আহ্বান জানালেই মানুষ পিল পিল করে রাস্তায় নামবে এমন ধারণা খুব বাস্তবসম্মত বলে মনে হয় না। তারা তো তেমন ডাক আগেও কতবার দিয়েছিলেন, মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করার জন্য বিএনপির অদক্ষতা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি আর প্রকাশ্য রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা বিএনপিকে বুঝতে হবে। দলের এই নড়বড়ে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী যুদ্ধে নামলে ফল কি অনুকূলে আসবে? বিএনপিকে কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবের জমিতে পা রাখতে হবে। হঠকারিতা পরিহার করতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তা না করে অহেতুক তর্জন-গর্জন করে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App