চিড়িয়াখানা এলাকা থেকে উদ্ধার মর্টারশেল নিষ্ক্রিয়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২৩ পিএম
বুধবার মিরপুরে উদ্ধারকৃত মর্টারশেল নিয়ে কথা বলছেন র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান। ছবি- ভোরের কাগজ
রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির মাটি খননের সময় একটি মর্টারশেল উদ্ধার করে র্যাব। বুধবার (৬ অক্টোবর) র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান এ কথা জানান।
[caption id="attachment_311280" align="alignnone" width="1152"] মিরপুর চিড়িয়াখানা এলাকায় মর্টারশেল উদ্ধারকৃত জায়গাটি চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: ভোরর কাগজ[/caption]মশিউর রহমান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডস্থ একটি বাসার খনন কাজ করার সময় মর্টারশেল পাওয়া যায়। প্রথমে র্যাব-৪ মর্টারশেলের খবর পেয়ে র্যাব সদরদপ্তরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। পরে বোমাটি উদ্ধারের পরে বেরিবাঁধ সংলগ্ন গোড়ান চটবাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরিত করে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এ সময় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আশেপাশের লোকজনকে সড়িয়ে নেয় র্যাব।
তিনি আরও বলেন, বোমার গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না।মর্টারশেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরাতন। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। মর্টারশেলটি সক্রিয় ও বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত মানুষ থাকলে স্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। খননকৃত মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি আরও কোনও বোম রয়েছে কিনা। আমরা আর কোনও বোমের সন্ধান এখানে পাইনি।
তিনি আরও জানান, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে। একটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তীতে মাটির নিচে কেউ পুতেও রাখতে পারে। বোমাটির গায়ে মার্কগুলো দেখা যাচ্ছে না তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।