মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও মানবপাচার রোধে প্রয়োজনে গুলি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০১:২০ পিএম
মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচার রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সীমান্তে চোরাচালান রোধ ও সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশের অবস্থান উল্লেখ করে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সকল ধরনের চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। তাহলেই মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ হবে। তবে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
এ সময় সিলেটের উন্নয়ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সিলেটে বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল ২০০ বেডে উন্নীত না করে শত কোটি টাকা ফেরত দেওয়া, সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট সড়ক না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ২০০ বেডের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। এজন্য ১১০ কোটি টাকাও বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু শামসুদ্দিন হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নীত করা হয়নি। ২শ’ শয্যার হাসপাতাল না করে ১শ’ শয্যা সংস্কার করে বরাদ্দ থেকে ব্যয় করা হয় ১০ কোটি টাকা। কাজ না করে ফেরত দেয়া হয় ১শ’ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা সিলেটের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নষ্ট করেছেন।
এসময় তিনি সিলেটের বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক ১২ বছরেও ১২ কিলোমিটার সড়কের কাজ করতে না পারায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিজ থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১২ বছরেও ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়নি। এটা সংশ্লিষ্টদের জন্য লজ্জার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ব্যর্থতা আমাদের জন্য দু:খের, যারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন তাদের জন্যও দু:খের। আর যারা এই কাজের দায়িত্বে (সওজ কর্মকর্তারা) ছিলেন তাদের জন্য লজ্জার। লজ্জায় তাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত।