×

আন্তর্জাতিক

দিদির গদি আর কাঁপছে না!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০৪:১৩ পিএম

দিদির গদি আর কাঁপছে না!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয় হলেও দলটির সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের একমাত্র আসনে হেরে যান। ফলে টানা তিনবারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও একটি উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাকে জয়ী হওয়া ছিলো বাধ্যতামূলক। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফল আসার আগ পর্যন্ত তার ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়ে এক প্রকার অনিশ্চয়তা ছিলই। এ উপনির্বাচনে মমতার বিপুল ব্যবধানে জয় লাভের মধ্য দিয়ে সেই অনিশ্চয়তাও কেটে গেল। এখন বলাই যায়, পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীদের প্রিয় দিদির গদি এখন আর কাঁপছে না! বরং প্রবল প্রতাপে আবির্ভূত হলেন তিনি। প্রমাণ করলেন পশ্চিমবঙ্গ মানেই মমতা, দ্বিতীয় কেউ নন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জ- তিনটি বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই তিন আসনের মধ্যে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ভবানীপুর। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেরও শ্যেনদৃষ্টি ছিলো ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিকে।

ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, সিপিএম প্রার্থী ছিলেন শ্রীজীব বিশ্বাস এবং তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভবানীপুরে মমতা পেয়েছেন মোট ৮৫ হাজার ২৬৩ ভোট। প্রিয়ঙ্কা ২৬ হাজার ৪২৮ এবং শ্রীজীব পেয়েছেন ৪ হাজার ২২৬ ভোট। মমতার প্রাপ্ত ভোট ৭২ শতাংশের বেশি। অন্য দিকে, প্রিয়ঙ্কা পেয়েছেন ২২ শতাংশের বেশি ভোট।  এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে ৫৭.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ পেয়েছিলেন ৩৫.১৬ শতাংশ ভোট।

ফল জানার পরপরই মমতা উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে বলেন, সব চক্রান্ত জব্দ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, ভবানীপুরের মানুষ। ভবানীপুরের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী। পশ্চিমবঙ্গ খুব আঘাত পেয়েছিল যখন সব ভোটে জিতেও একটায় জিততে পারিনি। সেটা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেটা নিয়ে এখন কিছু বলছি না। অনেক চক্রান্ত চলেছিল।

ভবানীপুরের উপনির্বাচন ছিলো মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব রক্ষার নির্বাচন। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলো না। এই নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরে দিদি এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন যে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোদ্দাকথা হলো ভবানীপুর আসনে জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেক মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকা নিশ্চিত করে দিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App