দিনভরই যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

হঠাৎ করেই দুপুর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট শুরু হয়। রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রুট পারমিট বিহীন বাস জব্দ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অভিযানের খবর পেয়েই মালিকরা সড়ক থেকে বাস তুলে নিলে গণপরিবহনের সংকট সৃষ্টি হয়। একারনে দিনভরই যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

জানা গেছে, রুট পারমিট বিহীন বাস-মিনিবাস জব্দ করতে পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়। মোবাইল কোর্টের সঙ্গে বিআরটিএ, ডিএমপি প্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সাংবাদিকরা মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়। তখনই বাসের লোকজন অভিযানের খবর জানতে পেরে সটকে পড়ে। রাজধানীর ব্যস্ততম মতিঝিল এলাকার সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। রুট পারমিট নেই এমন সব বাস ও মিনিবাসগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। ডিএসসিসি’র মোবাইল কোর্ট মতিঝিলে গিয়ে বাসের সংখ্যা কম দেখে গুলিস্তানে চলে যায় এবং অভিযান শুরু করে। কিন্তু ততক্ষনে এই এলাকা থেকেও রুট পারমিট বিহীন বাসগুলো সরে পড়ে। যেসব বাসের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছে তার সবগুলোরই বৈধ পারমিট ছিলো।

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয়া হয়। ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৭তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রুট পারমিটবিহীন বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধে এ অভিযান চালানো হয়।

বিকল্প বাসের স্টাফ একরাম জানান, দুপুরে মতিঝিলে অনেক বাস থাকে। কিন্তু রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা শুনে বাস কমে গেছে। যাদের কাগজপত্র আছে শুধু তারাই সড়কে আছে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ এলাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় বিআরটিএ ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে চলমান বাসের ফিটনেসসহ রুট পারমিট পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়। একারনে ওই এলাকাতেও সড়ক থেকে অনেক বাস ও মিনিবাস মালিকরা সরিয়ে নিয়েছে।

এদিকে গণপরিবহন সংকটের কারনে দিনভরই যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোকজনকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আবার একটি বাস এসে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে।