×

জাতীয়

২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান কঠিন হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৭ পিএম

২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান কঠিন হবে

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান করা কঠিন হবে। এলএনজি’র দাম বেড়ে যাওয়ায় এই সংকট হতে পারে।

শনিবার (২ অক্টোবর) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা বলেন, আগামীতে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হবে। রামপাল, মাতারবাড়ি এবং রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার অনেক কমবে। কিন্তু এর আগে গ্যাসের ব্যবহার কমানো কঠিন হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বাড়ছে। এখন সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩৬ ডলারে কিনছে। এটা আরো বাড়তে পারে।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, তেল গ্যাস অনুসন্ধানে আমাদের যে অগ্রগতি হওয়া উচিত ছিলো আমরা তা দেখাতে পারিনি। আগে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানির মিশ্রণ ছিলো না। এখন আমরা গ্যাসের পাশাপাশি কয়লা এবং তেল ব্যবহার করছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম বাড়ছে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আরো জোরেশোরে বাড়াতে হবে।

ওয়েবিনারে গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এলএনজি আমদানির চুক্তি করা আমাদের উচিত ছিলো। স্টপ মার্কেটে তো অনেক সময় গ্যাসের দাম ৫০ ডলারও হয়ে যেতে পারে। আবার সেখানে কখনো কখনো গ্যাস নাও থাকতে পারে। ফলে এর ওপর ভিত্তি করে দেশের পরিকল্পনা সাজানো উচিত না।

পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে বলে আসছি জ্বালানি মিশ্রণ এমনভাবে থাকা উচিত যাতে একটি জ্বালানিতে সমস্যা হলে অন্যটিতে যাওয়া যায়। এখন আমাদের দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। আমাদের উচিত মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করা।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার আব্দুস সালেক সুফি বলেন, চীন, জাপান বিপুল পরিমাণ এলএনজি আমদানি করে। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারি তাহলে তারা কিনে রাখা কার্গোগুলো যখন বিক্রি করে দেয় তখন আমরা কিনে নিতে পারি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App