×

জাতীয়

গান্ধীজীর জীবন ও তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২২ পিএম

গান্ধীজীর জীবন ও তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী

শনিবার ‘অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ছবি: ভোরের কাগজ

গান্ধীজীর জীবন ও তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী

অহিংস মতবাদের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকীটি আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে উদযাপিত হলো। বাংলাদেশেও দিনটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা থেকে মহাত্মার স্মৃতিধন্য নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত গান্ধী আশ্রমে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২ অক্টোবর) নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ও ভারতীয় হাই কমিশন যৌথভাবে ‘অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। ২০০৭ সাল থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী। গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়াারম্যান বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংসদ অ্যারোমা দত্ত, জাতিসংঘের অন্তবর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়কারী মি. টুয়োমো পুটিআইনেন এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

এদিন আনিসুল হক, ড. আবদুল মোমেন এবং হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সংস্কারকৃত গান্ধী স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। গান্ধী আশ্রম ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই জাদুঘর সংস্কারে সহায়তা করেছে ভারত সরকার। বিশিষ্ট অতিথিরা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্ন এবং জাদুঘরের প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

[caption id="attachment_310531" align="aligncenter" width="700"] নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম[/caption]

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, গান্ধীজীর জীবন এবং তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, গান্ধীজীর সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং অহিংসার আদর্শ তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে অবদান রেখেছিল। মুজিববর্ষ উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী বাংলাদেশে প্রদর্শিত হওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।

তিনি ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ঢাকায় উন্মুক্ত থাকবে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীতে প্রদর্শিত হবে।

তিনি বলেন, প্রদর্শনীটি আমাদের দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের মতো একটি অনন্য বিষয়কে উপস্থাপন করছে।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চালিকা অবলম্বনে একটি বিশেষ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করে ঢাকার স্পন্দন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

এদিকে অহিংস আন্দোলনের এই পুরোধা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে শান্তি সমাবেশ করেছে গান্ধী স্মারক সনদ। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মহাত্মা গান্ধী স্মারক সনদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নাসিফ মকসুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই শান্তি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির, মো. আবদুল মান্নান, গান্ধী স্মারক সনদের সমন্বয়ক কবির সুমন ও মাসুদুর রহমান।

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি চিরকাল মানুষকে পথ দেখাবে এমন মন্তব্য করে মহাত্মা গান্ধী স্মারক সনদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নাসিফ মকসুদ বলেন, মহাত্মা গান্ধী চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন শুধু ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হিসেবে নয়, বরং অহিংস পদ্ধতিতে যেকোনো অন্যায় –অবিচার ও হানাহানির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে বিশ্বের মানুষের কাছে অহিংস আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে তিনি চিরকাল শ্রদ্ধাভাজন থাকবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App