×

আন্তর্জাতিক

ফলাফল ৩ অক্টোবর: গদি রক্ষার নির্বাচনে জয়ের আশা মমতার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২৭ এএম

তেমন কোনো বড় অশান্তি ছাড়াই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে ভোটাভুটি পর্ব শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটদান প্রক্রিয়ায় ভালোই উপস্থিতি দেখা গেছে ভোটারদের। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ভোটারদের মধ্যে ভোট দেয়ার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতোই।

এদিন সকাল থেকে বাড়িতে বসেই ভবানীপুর উপনির্বাচনের ওপর নজর রাখছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধীন আটটি ওয়ার্ডে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাদের থেকে ভোটপ্রাপ্তির বিষয়ে মমতার কাছে ইতিবাচক বার্তাই এসেছে বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, উপনির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। খুব ভালো ভোট হয়েছে। মমতা মানুষের হৃদয়ে আছেন। কোথাও কোনো রিগিং হয়নি।

পড়ন্ত বিকালে মিত্র ইনস্টিটিশনে ভোট দিতে যান মমতা। বুথে তিন মিনিট ব্যয় করে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফের কালীঘাটের বাসভবনে

ফিরে যান তিনি। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হলে সাংবিধানিক শর্তপূরণ করবেন মমতা। প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নেন তিনি। তাই ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে বিধানসভার সদস্য হয়ে সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করতে হত। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে এর আগে নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় গত ২১ মে পদত্যাগ করেন। সেই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হন মমতা। কৃষিমন্ত্রী শোভন দেবের দাবি, ভবানীপুর থেকে জিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এই উপনির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। আর জয়ের ব্যবধানে তিনি নিজের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যাবেন।

সংঘর্ষ ও অশান্তির যে আভাস ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে গত কয়েক দিনে তৈরি হয়েছিল, তার জেরে গতকাল অতিরিক্ত ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ হয় শুধু ওই কেন্দ্রের জন্য। সব মিলিয়ে সেখানে বরাদ্দ রাখা হয় ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন জানায়, ভবানীপুরের প্রায় সবগুলো বুথই উত্তেজনাপ্রবণ। এর মধ্যে ১৩টি অতি উত্তেজনাপ্রবণ।

এদিকে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও বিকেলের দিকে বিজেপি অভিযোগ করে, দলের নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়ির ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কর্মীরা। তখন নির্বাচন কমিশন জানায়, বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে ভবানীপুরে যাননি কল্যাণ। তিনি বিহারের রাজনৈতিক দল হিন্দুস্তানি আওয়ামী মোর্চার এজেন্ট পরিচয়েই ভবানীপুর যাওয়ার অনুমতি নেন। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা যে গাড়িটি ভাঙচুর হয়েছে, সেটির জন্য কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি কমিশন থেকে। এই ঘটনা ঘিরে বিকেল থেকেই কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় ভবানীপুরে। কিন্তু দিনের শেষে অভিযোগ তোলা বিজেপিই বিপাকে পড়ে যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App