×

জাতীয়

নতুন মজুরি স্কেল ঘোষণার দাবি করল গার্মেন্টস শ্রমিকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৫২ পিএম

নতুন মজুরি স্কেল ঘোষণার দাবি করল গার্মেন্টস শ্রমিকরা

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনটির সভাপতি তাসলিমা আখতার

পোশাক শ্রমিকদের প্রোডাকশন টার্গেটের নামে হয়রানি বন্ধ করা, দ্রব্যমূল্য কমানো ও মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। শুক্রবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু। আরও বক্তব্য রাখেন আশুলিয়া শাখার সভাপ্রধান বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, সাহিদা আক্তার, সাভারের সংগঠক সেলিনা আক্তার, মিরপুরের সংগঠক আসাদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পাদক কাওসার হামিদ প্রমুখ। সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক বাচ্চু ভুইয়া।

তাসলিমা আখতার বলেন, ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ঘোষণা করার পরে ৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অন্যদিকে ছয় মাসে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে শ্রমিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিমসহ সব পণ্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে, শ্রমিকরা এখন আগের চাইতে অর্ধেক জিনিষ কিনেও কুলাতে পারছে না। খাদ্যপণ্যসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য কমানো এবং অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পুনর্গঠন করার দাবি জানান তিনি।

তাসলিমা আখতার আরও বলেন, করোনা মহামারিতে প্রায় তিন লাখ শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এখন কাজের চাপ বাড়লেও নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে কম শ্রমিকের ওপর অধিক কাজের ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে ফাইভ পকেট প্যান্ট প্রতি ঘণ্টায় তৈরি করা হতো ৫০-৬০টি, এখন একই প্যান্ট তৈরির টার্গেট ঘণ্টা প্রতি ২৪০ থেকে ২৫০টি। একইসাথে শ্রমিকদের জোর করে ৪ ঘণ্টার অধিক সময় ওভারটাইম করতে বাধ্য করা হয়। এতে তরুণ শ্রমিকরা অল্পসময়ের মধ্যেই কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, চাকরি হারানো শ্রমিকরা এবং যারা নতুন করে চাকরি পেয়েছেন তাদের মজুরি কমে গেছে। অন্যদিকে গত তিন বছরে বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে দুবার, গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে, এলপিজির দাম বাড়িয়েছে সরকার, বাড়ানো হয়েছে পানির দামও। ফলে শ্রমজীবী মানুষের বাসা ভাড়া বেড়ে গেছে। বেড়েছে যাতায়াত খরচ, বেড়েছে শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়। কিন্তু সে তুলনায় মজুরী বাড়েনি।

বক্তারা এ সময় অবিলম্বে সব স্তরের শ্রমিকের জন্য নতুন মজুরি স্কেল ঘোষণার দাবি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App