×

পুরনো খবর

বাংলাদেশে প্রথম এটিএম মেশিন তৈরি করতে যাচ্ছে টেকনো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৫০ পিএম

বাংলাদেশে প্রথম এটিএম মেশিন তৈরি করতে যাচ্ছে টেকনো

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রথম এটিএম মেশিন তৈরি করতে যাচ্ছে টেকনো

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইটেক পার্কে জায়গা বরাদ্দের দলিল হস্তান্তর করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশে প্রথম অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) তৈরি করতে যাচ্ছে টেকনো মিডিয়া লিমিটেড। আর কোম্পানিটিতে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ২৫০ জন শিক্ষিত তরুণের। কোম্পানিটি দেশে নিজস্ব কারখানায় দুই ধরনের প্রযুক্তি সম্পন্ন মেশিন তৈরি করবে। একটি হলো এটিএম মেশিন আরেকটি হলো ক্যাশ রিসাইকেলার মেশিন (সিআরএম)।

এজন্য সরকার বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে কোম্পানিটিকে এক একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাইটেক পার্কে জায়গা বরাদ্দের দলিল হস্তান্তর করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক। টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সিআইপি দলিল গ্রহন করেন।

তিনি বলেন, শুরুতে আমরা আড়াই মিলিয়ন ডলার দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে এই বিনিয়োগ আরও বাড়বে। আমরা প্রথম বাংলাদেশে এটিএম মেশিন তৈরি করতে যাচ্ছি। এখাতে দেশে অন্তত দুইশত কোটি টাকা বাঁচবে। এই পরিমাণ টাকার এটিএম মেশিন বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। এই বিপুল পরিমাণ টাকা বাঁচার কারনে অনেক কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একটা আধুনিক সমাজ গড়ে ওঠেছে আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমরা আমাদের গার্মেন্ট নিয়ে গর্ব করি। সেখানে আমাদের সস্তা শ্রম ছিলো। কিন্তু এখানে সস্তা শ্রম চলবে না। এক্ষেত্রে আমরা প্রধামন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এখানে যারা আজ চুক্তি বদ্ধ হলেন সকলকে আমাদের অভিনন্দন। বেসরকারকারি সেক্টরকে নিয়ে আগাতে হবে। আমাদের বিনিয়োগকরারীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীর জনক। তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে নি। তবে তার স্বপ্ন পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কাজ করছেন নিরলস ভাবে কাজ করছেন। ১৯৯৬ সালে  বিএনপির কারনে আমরা স্যাটেলাইট ক্যাবলে যুক্ত হতে পারিনি। পরবর্তীতে আমরা তাতে যুক্ত হয়েছি। আগে দেশে এক ফোন কোম্পানী ছিলো এখন  সব কোম্পনি উন্মুক্ত আছে। একটি সঠিক সরকার একটি সিদ্ধান্ত দেশকে যে কতটা এগিয়ে নিতে  যেতে পাওে তার অন্যতম উদাহরণ প্রধারমত্রী শেখ হসিনা।

চুক্তির আওতায় আগামী ৪০ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, টেকনোমিডিয়া লিমিটেড, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেড, সেলট্রোন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিস লিমিটেড, উল্কাসেমি প্রাইভেট লিমিটেড, ম্যাকটেল লিমিটেড, চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর রেডডট ডিজিটাল ও ফেলিসিটি বিগ ডাটা লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের সুযোগ পেলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App