×

অর্থনীতি

দেশে এসএমই খাত অদক্ষ জনবলের উপর নির্ভরশীল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৫৮ পিএম

দেশে এসএমই খাত অদক্ষ জনবলের উপর নির্ভরশীল

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান

দেশে এসএমই খাতে প্রায় এক লাখ প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মুনাফা অর্জন করে। কিন্তু তাদের আর্থিক হিসাব সঠিকভাবে হয় না। একই সঙ্গে তারা অদক্ষ জনবলের ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক ব্যয় হয়। তাই ডিএসই ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে সেসব প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য আহ্বান করেছেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।

বৃহস্পতিবার ডিএসইর এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান।

মিজানুর রহমান বলেন, এসএমই কোম্পানিগুলোকে অর্থ সংস্থানের জন্য ঋণ নিতে হয়। তবে শেয়ারবাজারে এসএমই প্লাটফর্মের যাত্রার মাধ্যমে ওইসব কোম্পানিগুলো স্টক এবং ডেবট সিকিউরিটিজ ইস্যুর সুযোগ পেল। একইসঙ্গে সুশাসন ও স্বচ্ছতায় নিশ্চিতের দায়বদ্ধতার মধ্যে চলে আসতে হবে।

তিনি বলেন, বিএসইসি শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে জোরদার করে। যাতে করে উদ্যোক্তাদেরকে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক হিসাব মান অনুযায়ি আর্থিক হিসাব তৈরী ও উপস্থাপন করতে হয়। যা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা উন্নয়নে সহযোগিতা করে।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে রক্ষা ডিএসইর প্রধান কাজ উল্লেখ করে বিএসইসির কমিশনার বলেন, এসএমই কোম্পানিগুলোর তথ্য সঠিকসময়ে প্রকাশের জন্য ডিএসইর ম্যানেজমেন্টকে অনলাইন ডেশবোর্ড প্রস্তুতের জন্য আহবান করছি। যাতে করে কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক হিসাবসহ অন্যান্য বিষয়গুলো দ্রুত প্রকাশ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, ডিএসইর এসএমই প্লাটফর্মটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন উচ্চতায় যাবে দেশের শেয়ারবাজার। এজন্য আরজেএসসিতে যে প্রায় ১ লাখ এসএমই রেজিস্ট্রি কোম্পানি আছে, সেসব কোম্পানি ডিএসইর এসএমই বোর্ডে আসতে পারে।

অনুষ্ঠানে এসএমইতে লেনদেন শুরু হওয়া ৬ কোম্পানির মধ্যে ৩ কোম্পানির প্রতিনিধি সংক্ষিপ্ত বক্তৃত্বা রাখেন। এর মধ্যে মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির আহমেদ বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন পণ্য তৈরী করে যাচ্ছে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে কাজ করে গেছে। তারা বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দিতে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এসময় ওরিজা অ্যাগ্রোর পরিচালক এম আজহার রহমানও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন বলে জানান। একইসঙ্গে ওরিজা অ্যাগ্রোতে বিনিয়োগ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App