×

খেলা

নতুন জার্সিতে সাফ জয়ের স্বপ্নে বিভোর জামালরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২০ পিএম

নতুন জার্সিতে সাফ জয়ের স্বপ্নে বিভোর জামালরা

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মালদ্বীপে যাওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন জার্সি গায়ে জামাল ভূঁইয়া ও তপু বর্মন।

পাঁচ দেশের অংশগ্রহণে ১-১৬ অক্টোবর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন জার্সিতে মাঠে নামবেন জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা। মালদ্বীপের এই প্রতিযোগিতায় কোচ অস্কার ব্রুজসের শিষ্যদের দেখা যাবে নতুন রূপে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালের জেন্টস হোটেলে নতুন জার্সিতে ফটোসেশনে দেখা যায় জামাল ভূঁইয়া ও তপু বর্মণকে। হোম জার্সিতে সবুজের মধ্যে ডোরাকাটা লাল দাগ। আর অ্যাওয়ে জার্সিতে লাল দুই কাঁধের অংশে সবুজ। এবার নতুন জার্সিতে শিরোপা জয়ের স্বপ্নের জাল বুনছেন জামালরা।

এদিকে বেশ কয়েক বছর ধরেই একই নকশার জার্সি পরে খেলে আসছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ২০১৫ সাল থেকে একই ধরনের জার্সি পরে খেলে আসছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেহেতু খেলার মূল আকর্ষণ জার্সি তাই আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন জার্সির উন্মুক্ত ডিজাইন আহ্বান করেছিল। প্রায় দেড় শতাধিক জার্সির ডিজাইন জমা পড়ে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি হোম ও অ্যাওয়ে জার্সি নির্বাচন করা হয়।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের সুব্রত দাশের ডিজাইন করা হোম জার্সি এবং সিলেটের স্বপন আহমেদের অ্যাওয়ে জার্সি নির্বাচিত হয়েছে। এই দুইজন বিজয়ী আর্থিকভাবে পুরস্কৃত হওয়া ছাড়াও জাতীয় দলের সঙ্গে নৈশভোজ, ফটোসেশন ও অটোগ্রাফ পাবেন।

এছাড়া দেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সবচেয়ে বড় এবং আকষর্ণীয় টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই গত ২৮ অক্টোবর এ টুর্নামেন্টে খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল মালদ্বীপে পৌঁছে গেছে। ইতোমধ্যেই জামাল-তপুদের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে এবং সব খেলোয়াড়ের উক্ত পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তাই বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় কোচ অস্কার ব্রুজসের শিষ্যরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলন করেছেন। তবে যাই হোক সাফে এবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে বিভোর হয়ে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। মালে যাওয়ার আগে গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেছেন অধিনায়ক।

এর আগে ২০০৩ সালে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর কেটে গেছে ১৮টি বছর। এই সময়ে সাফের ট্রফি যেন সোনার হরিণই হয়ে আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কাছে। অথচ প্রতিবারই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এই প্রতিযোগিতায় ট্রফি জয়ের স্বপ্ন থাকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও একই স্বপ্নে বিভোর। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত চার আসরে ১২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৩টি, ড্র দুটি এবং হার ৭টি।

সাফে এবার অংশ নেয়া পাঁচ দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে ভারত (১০৭), এরপর মালদ্বীপ (১৬০) ও নেপাল (১৬৮)। বাংলাদেশের (১৮৯) চেয়ে পিছিয়ে কেবল শ্রীলঙ্কা (২০৫)। উদ্বোধনী দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফেভারিটের তালিকায় ভারতকে সবার উপরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ছক কষছেন জামাল ভূঁইয়া। তাছাড়া এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন দিক হলো ফরম্যাট। পাঁচটি দেশ অংশ নিচ্ছে বলে খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে। এখানে এক ম্যাচ খারাপ করলে তা পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে। নতুন এই ফরম্যাটও বাংলাদেশকে আশাবাদী করছে ফাইনালে ওঠার।

তবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম ও শেষ ট্রফি ২০০৩ সালে ঢাকায়, সর্বশেষ ফাইনাল ২০০৫ সালে করাচিতে এবং সর্বশেষ সেমিফাইনাল ২০০৯ সালে ঢাকায়। সর্বশেষ চারটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপপর্বই টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যর্থতা ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে গত আসরেও। দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টে হাবুডুবু খাওয়া বাংলাদেশ এবার চোখ রাখছে শিরোপায়।

এক দশক ধরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপপর্বের বৈতরণীই পেরুতে পারছে না বাংলাদেশ। আসরের হিসেবে চারটিতে এই হতাশা সঙ্গী। ব্যর্থতার এই বৃত্তে জামাল ভূঁইয়া ঘুরপাক খাচ্ছেন ২০১৩ সাল থেকে, তিন আসর ধরে। এবার গণ্ডিটি ভাঙতে আশাবাদী এই মিডফিল্ডার। সতীর্থদের ওপর আস্থাও আছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App