দেশের সব সিঙ্গেল রেল লাইনকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে, যার ফলে ট্রেনের গতি বাড়বে, নিরাপদ হবে রেলযাত্রা। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেলমন্ত্রী  নূরুল ইসলাম সুজন কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে লাকসাম-কুমিল্লা সেকশনে ২৪ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন কালে এ মন্তব্য করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, এক সময় রেলকে ধ্বংস করা হয়েছিল। ধ্বংসপ্রাপ্ত রেলকে পুনরায় গতি ফিরিয়ে আনেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে। সিঙ্গেল লাইনকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। নতুন নতুন ব্রিজ করা হচ্ছে। দেশের যেসব এলাকায় রেল সংযোগ নেই সেখানে সংযোগ দেয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন কক্সবাজারে নতুন রেললাইন চালু হবে আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে যেটি ২০২৪ সালে চালু হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত করা হচ্ছে।  খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এভাবে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে রেলের উন্নয়নে ।

রেলমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, যে দেশ যত উন্নত সে দেশের রেল যোগাযোগ তত উন্নত। একটা ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী রেলখাত কে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।  আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পরবর্তীতে ব্রডগেজ  করা হবে। ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাটাই ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করা হবে। এ সময় তিনি নিরাপদ যাত্রার ক্ষেত্রে ট্রেনে ঢিল ছোড়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ার আহ্বান জানান। একটি নিরাপদ রেল ভ্রমণকে অনিরাপদ করে তুলছে কিছু দুষ্কৃতকারী । এর বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

রেলমন্ত্রী এ সময় আরও উল্লেখ করেন, আগামীতে ১২৫টি লাগেজভ্যান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে কৃষকরা তাদের পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে সরবরাহ করতে পারবে।

আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে নতুন ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ দ্বিতীয় রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান ৭২ কিলোমিটার মিটার গেজ রেললাইন কে ডুয়েলগেজ রূপান্তর করা হচ্ছে। লাকসাম কুমিল্লা সেকশনে ২৪ কিলোমিটার ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল হাশেম খান, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।