বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:১২ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশ করতে চাই। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের আরো কাজ করার সুযোগ আছে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ‘ইউএন হাই লেভেল ডায়ালগ অন এনার্জি’ বিষয়ক সংলাপে এক ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
‘ইউএন হাই লেভেল ডায়ালগ অন এনার্জি’ বিষয়ক সংলাপে এক ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। ওই বার্তায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বছর ভিত্তিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই জ্বালানির সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ-২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম চলছে।
অপরদিকে সৌরবিদ্যুতের জন্য খসড়া রোডম্যাপ-২০৪১ নিয়েও এখন পর্যালোচনা হচ্ছে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়েও আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে। ৯টি সাইটে বায়ুর ম্যাপিং করা হয়েছে। অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়েও খুব শিগগিরই গবেষণা শুরু হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশ করতে চাই। এই সবকিছুর জন্যই বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নাবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি বেশি লাগে বিধায় সৌরবিদ্যুতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটির বেশি গ্রামীণ অফগ্রিডের জনগণ এখন বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। এখন আমরা ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
সৌরবিদ্যুতকে জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। বিদ্যুতের বেসলোড উৎপাদনের জন্য এলএনজি এবং পারমাণবিক শক্তি চালু করা হচ্ছে। বিদ্যুতের আমদানিকেও যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভূটান থেকে হাইড্রোবিদ্যুৎ এবং ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাচ্ছি।