×

সারাদেশ

চৌগাছায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:০৯ পিএম

চৌগাছায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

অসহায় গরীব ভূক্তভোগিরা। ছবি: ভোরের কাগজ।

যশোরের চৌগাছায় বর্ডার হাটে চাকরির কথা বলে অসহায় গরীব কৃষকদের লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়াগেছে। উপজেলার মশ্যমপুর গ্রামের ৬জন কৃষক সেই প্রতারণার শিকার হয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগিরা।

সরজমিন তদন্তে অভিযোগকারিরা জানিয়েছেন, বছর ৩/৪ আগে এসএম হাবিব জানান তাদের মশ্যমপুর গ্রামে বর্ডার হাট হবে এবং সেখানে ২০ জন সিকিউরিটি গার্ড লাগবে। তবে সেই চাকরির জন্যে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জামা দিতে হবে। তারই কথামতো ওই গ্রামের মৃত মোবারকের ছেলে এক্সের, শনু মন্ডলের ছেলে জিয়াউর, মৃত জাহা বক্সের ছেলে মৃত মোন্তাজ আলী, মহাসিনের ছেলে মালেক,আনছার মেম্বরের ছেলে রাজু এবং আকরামের ছেলে ইয়াসিন জমি বিক্রি করে ও সুদে টাকা নিয়ে স্থানীয় ইউনুচ মেম্বরের হাতে দেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি তো হয়নি এমনকি তাদের টাকাও ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউনুচ মেম্বর বলেন, ওই বিষয়টা যারা সে সময় হাট করছিল সেই হাট মালিক মুক্তদাহ গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বর আলী হোসেন আর এসএম হাবিব জানে। পরে ইউনুচ মেম্বরের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে কথা হয় সেই সাবেক মেম্বর আলী হোসেনের সাথে। প্রথমেই তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,“ হাটও হবে এবং দ্রুত তাদের টাকাও ফিরিয়ে দেবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এসএম হাবিবের মাধ্যমে এবং তার কাছ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা নিয়েছি। আমাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত মেজ ভাই (এসএম হাবিবুর রহমান) দেড় লাখ টাকা রেখে দিয়েছেন। সেই টাকা (সাড়ে ৮ লাখ) আর আমার টাকা মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে আমি আর্ন্তজাতিক গরুর হাটের (বর্ডার হাট) লাইসেন্স করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের শাখা-২ এর বিভিন্ন জনকে দিয়েছি। করোনার সমস্যা না থাকলে এতোদিনে আমার লাইসেন্স হয়ে যেত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে কাকে কাকে টাকা দিয়েছেন, সেই টাকার কোনো রশিদ আছে কিনা এবং এটা ঘুষ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এসব টাকার কি কোনো রশিদ হয়? আর এটা ঘুষ না অফিসিয়াল খরচ। এদিকে সাবেক মেম্বর আলী হোসেন সম্বন্ধে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেবাশীষ মিশ্র জয় বলেন, সে আমার গ্রামের লোক এবং একজন আর্ন্তজাতিক প্রতারক। তিনি বলেন হাটের খবর আমি জানি আর শুধূ হাট কেনো বিভিন্ন ভাবে এই আলী হোসেন বিভিন্ন মানুষ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে থাকে। তিনি আরো বলেন সেই বর্ডার হাট করার ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান এবং চৌগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামও জড়িত ছিল ।

এ বিষয়ে উপজেলা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান বলেন,“ঘটনা সত্য। ওই প্রতারক আলী হোসেন আমার লোকজনের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমিও তাকে খুঁজছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App