×

জাতীয়

সারা দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ সেলুন লাইব্রেরি চালু: কে এম খালিদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০২ পিএম

সারা দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ সেলুন লাইব্রেরি চালু: কে এম খালিদ

বৃহস্পতিবার ‘মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে পড়ি ‘বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক কর্মসূচিতে মন্ত্রী এসব বলেন। ছবি: ভোরের কাগজ

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে পড়ি ‘বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক দিনব্যাপী ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এই কর্মসূচির আয়োজন করে। তিন মাসব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।

সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।

কে এম খালিদ বলেন, আমরা যখন কোনো সেলুনে যাই, তখন অবসর সময়ে আমরা হাতের নাগালে বই, পত্রিকাসহ যা কিছু পাই, তা পড়ার চেষ্টা করি। এতে করে আমাদের সময়টি যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানের আলোয় সমৃদ্ধ হই। সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। উদ্যোগটি আপাতত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র মনে হলেও এর কার্যকারিতা ফলপ্রসূ ও সুবিশাল।

সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার ‘কাজ করে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি হতে তথ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।

এর মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন ৭১টি সরকারি গ্রন্থাগার, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ একই নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোতে তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই।

তিনি এ সময় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১০০টি পাঠাগারের প্রত্যেকটিকে তিন হাজার টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।

সিমিন হোসেন রিমি আরো বলেন, বইয়ের আবেদন চিরন্তন। ই-বুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক হতে পারে। বইয়ের গুণের শেষ নেই। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও সহানুভূতি-সহমর্মিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।

সারা দেশের ১০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও পাঠক বঙ্গবন্ধুর রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি পাঠ করে লিখিতভাবে পাঠ-উত্তর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার মাধ্যমে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।

এ ছাড়া দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মফিদুলের হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরিফিন সিদ্দিক, অতিরিক্ত সংস্কৃতি সচিব অসীম কুমার দে, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ। ধন্যবাদ দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App