সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:০১ পিএম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং অন্যরা।
নগরবাসীর সচেতনতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সিটি কর্পোরেশন ও মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক কার্যক্রমের ফলে আগামী এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যন্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর জনগণকে সাথে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সকাল-বিকেল নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। কিভাবে এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস করা যাবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়েছে। আমি আশা করি মাসখানেকের মধ্যেই এডিস মশা একটি সহনশীল জায়গায় চলে আসবে।
এ সময় তিনি জানান, ডেঙ্গু একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ। শুধু বাংলাদেশই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে না, এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশই ডেঙ্গু মোকাবেলা করছে। এতে যে সব দেশ সফলতা পেয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
[caption id="attachment_308772" align="aligncenter" width="700"] স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।[/caption]তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১০ কোটি থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় এবং ৭ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। ২০১৯ সালে আমাদের দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করলেও ২০২০ সালে একে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে লকডাউন এবং ঈদের ছুটি। এ সময় অনেকেই বাসা বাড়ি ছেড়ে নিজ এলাকায় যাওয়ায় ও নির্মাণ শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় এডিস মশার প্রভাব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সমাপ্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে এমন কিছু কাজ শুরু হয়েছে যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। ইতোমধ্যে নগর এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
এসময় তিনি প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান পরবর্তীতে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধি মি. মারিজিও চিয়ান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত এনজিওর মাধ্যমে চারটি সিটি করপোরেশন, ১০টি পৌরসভা এলাকায় ৫ লাখ ৩ হাজার ৬২৭টি পরিবারকে বিনামুল্যে ভাউচার কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া, দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভার তিন হাজার ছয় শো ১৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং পৌরসভা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক হাজার আটশো এক জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।